শিরোনাম
এই মুহূর্তে পাকিস্তানের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা ইমরান খান। জনসমর্থনের দিক থেকে তার ধারেকাছে নেই আর কোনো নেতা। এমনকি দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের চেয়েও জনসমর্থনের দিক থেকে প্রায় দ্বিগুণ এগিয়ে পিটিআই চেয়ারম্যান। সম্প্রতি গবেষণা সংস্থা গ্যালাপ পাকিস্তানের এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে।
পাকিস্তানের চারটি প্রদেশের শহর ও গ্রাম উভয় অঞ্চলের প্রায় দুই হাজার মানুষের মতামতের ওপর জরিপ চালায় গ্যালাপ। জরিপের ফলাফল বলছে, অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৬১ শতাংশ মানুষই ইমরান খানকে ‘ইতিবাচক রেটিং’ দিয়েছেন। তার বিপক্ষে কথা বলেছেন মাত্র ৩৭ শতাংশ লোক।
প্রদেশগুলোর মধ্যেও অন্য নেতাদের তুলনায় সবচেয়ে বেশি সমর্থক রয়েছে ইমরান খানের। পাঞ্জাবে ২৯ শতাংশ, সিন্ধে ২৮ শতাংশ এবং খাইবার পাখতুনখাওয়ায় (কেপি) ১৪ শতাংশ অংশগ্রহণকারী তাকে ইতিবাচক রেটিং দিয়েছেন।
বিপরীতে, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফকে ইতিবাচক রেটিং দিয়েছেন মাত্র ৩২ শতাংশ পাকিস্তানি। আর নেতিবাচক রেটিং দিয়েছেন ৬৫ শতাংশ লোক। তার সবচেয়ে বেশি জনসমর্থন রয়েছে পাঞ্জাবে।
জরিপ বলছে, প্রতি পাঁচ অংশগ্রহণকারীর মধ্যে প্রায় তিনজনই (৫৯ শতাংশ) শাহবাজের ভাই নওয়াজ শরীফকে নেতিবাচক রেটিং দিয়েছেন। পিএমএল-এন সুপ্রিমোকে সবচেয়ে বেশি অপছন্দ করে কেপির লোকজন।
পাকিস্তানের বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পিপিপি চেয়ারম্যান বিলওয়াল ভুট্টো ইতিবাচক রেটিং পেয়েছেন ৩৬ শতাংশ মানুষের কাছ থেকে। তাকে নেগেটিভ রেটিং দিয়েছেন ৫৭ শতাংশ পাকিস্তানি। বিলওয়াল সবচেয়ে বেশি ইতিবাচক রেটিং পেয়েছেন সিন্ধ থেকে।
পিএমএল-এনের জ্যেষ্ঠ ভাইস প্রেসিডেন্ট মরিয়ম নওয়াজের ইতিবাচক রেটিং মাত্র ৩৪ শতাংশ, নেতিবাচক রেটিং ৬১ শতাংশ। তাকে অন্য প্রদেশগুলোর তুলনায় পাঞ্জাবের লোকজন কিছুটা বেশি পছন্দ করে।
জমিয়ত উলেমা-ই-ইসলাম ফজল (জেইউআই-এফ) প্রধান মাওলানা ফজলুর রহমান ৫৭ শতাংশ নেতিবাচক রেটিং পেয়েছেন। তার পক্ষে কথা বলেছেন মাত্র ৩১ শতাংশ লোক। তিনি সবচেয়ে বেশি ইতিবাচক রেটিং পেয়েছেন কেপি থেকে।
সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারির বিপক্ষে রেটিং দিয়েছেন ৬৭ শতাংশ মানুষ। তিনি ইতিবাচক ভোট পেয়েছেন মাত্র ২৭ শতাংশ অংশগ্রহণকারীর কাছ থেকে। সবচেয়ে বেশি নেতিবাচক ভোট পেয়েছেন পাঞ্জাব থেকে।
জরিপে আরও দেখা গেছে, পাকিস্তানের ৬২ শতাংশ মানুষ দেশটির বর্তমান অর্থনৈতিক সংকটের জন্য পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট (পিডিএম)/পিএমএল-এন’কে দায়ী করেছেন। বিপরীতে ইমরান খানের পিটিআই সরকারকে দায়ী করেছেন মাত্র ৩৮ শতাংশ লোক।
৫৩ শতাংশ পাকিস্তানি বলেছেন, ‘সৎ রাজনৈতিক নেতা’ পেলে তারা বর্তমান দল ত্যাগ করে নতুন কোনো দলকে ভোট দিতে প্রস্তুত। আশ্চর্যজনকভাবে, এই মনোভাব সবচেয়ে বেশি পিটিআই সমর্থকদের মধ্যে (৫২ শতাংশ)।