শিরোনাম
পূর্ব ইউরোপ ও পশ্চিম এশিয়ার দেশ জর্জিয়ায় একটি আইনের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ চলছে। রাজধানী তিবলিসিতে দ্বিতীয় রাতের বিক্ষোভে পুলিশ কাঁদানেগ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করেছে। পার্লামেন্টের সামনে থেকে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়েছে। এতে অনেকেই আহত হয়েছেন। খবর: বিবিসি, সিএনএন আলজাজিরা’র।
নতুন আইনের ফলে ইউরোপপন্থী এনজিও এবং সংবাদমাধ্যমগুলো বিপদে পড়তে পারে। ২০ শতাংশের বেশি বিদেশি অর্থায়ন থাকলে ‘বিদেশি এজেন্ট’ হিসেবে আখ্যায়িত করা যাবে।
সাবেক সোভিয়েত রাষ্ট্র জর্জিয়ার এই পরিস্থিতিকে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর আগের পরিস্থিতির সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে। বিক্ষোভকারীদের অনেকে ‘সোভিয়েত রাশিয়ায় ফেরত যেতে চাই না’ লিখে প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেছেন।
থিংক ট্যাংক প্রতিষ্ঠান ইউরোপিয়ান কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশন্স (ইসিএফআর) বলছে, জর্জিয়ার ক্ষমতাসীন জোটভুক্ত দলগুলো রুশপন্থি অবস্থানে রয়েছে। গত ১৮ মাসের বিভিন্ন পদক্ষেপ বিশ্লেষণ করে তারা এমনটি বলেছে। এই রুশপন্থি অবস্থানের ক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন জোটের গুরুত্বপূর্ণ দল জর্জিয়ান ড্রিম পার্টির নেতা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিলিয়নিয়র ব্যবসায়ী বিদজিনা ইভানিশভিলির শক্ত ভূমিকা রয়েছে।
জর্জিয়ার পরিস্থিতির সঙ্গে ২০১৪ ও ২০২২ সালের ইউক্রেন পরিস্থিতির ব্যাপক সাদৃশ্য রয়েছে বলে জানায় ইসিএফআর। ২০০০৮ সালে সংঘাতের মাধ্যমে জর্জিয়ার দুটি প্রদেশ সাউথ ওশেটিয়া ও আবখাজিয়া নিজেদের আলাদা দেশ দাবি করে। এর নেপথ্যে রাশিয়ার ইন্ধনের অভিযোগ রয়েছে। সেসময় জর্জিয়ায় কয়েকদিনের জন্য আগ্রাসনও চালিয়েছিল রাশিয়া। এসবের ভিত্তিতে ইসিএফআর বলছে, জর্জিয়া ও ইউক্রেন আগ্রাসন রাশিয়ার অভিন্ন সাম্রাজ্যবাদী প্রকল্পেরই অংশ।