শিরোনাম
মার্কিন ধনকুবের ও প্রখ্যাত ব্যবসায়ী থমাস লি আত্মহত্যা করেছেন। সম্প্রতি ম্যানহাটনের অফিস থেকে মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ৭৮ বছর বয়সী থমাস লির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় পুলিশ জানায়, থমাস লি নিজের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করে আত্মহত্যা করেছেন। তার মরদেহ অফিসের টয়লেট ফ্লোরে পড়েছিল। লি’র মাথায় গুলির স্পষ্ট ক্ষত পাওয়া গেছে।
তার অফিসের কর্মীরা জানান, অন্যান্য দিনের মতো বৃহস্পতিবারও অফিসে এসেছিলেন লি। কর্মীদের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি। সেসময় পর্যন্ত তার ব্যবহার বা কথাবার্তায় কোনো অস্বাভিকতা দেখেননি কেউ।
তবে বেলা ১১টার দিকে লি তার চেম্বারে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন। আচমকাই কর্মীরা পরপর কয়েকটি গুলির আওয়াজ শুনতে পান। প্রথমে সবাই মনে করেছিল, অফিসে কোনো জঙ্গি বা দুর্বৃত্ত ঢুকে গুলি চালাতে শুরু করেছে। এ ভয়ে কর্মীরা রীতিমতো অফিস ছেড়ে পালাতে শুরু করে।
পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। একপর্যায়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। প্রথমে পুলিশ হামলাকারীকে মাইকিং করে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়। তবে কোনো হামলাকারীর উপস্থিতি দে পাশাপাশি তারা অফিসের ভিতরে ঢোকে।
অফিসে ঢুকতেই পুলিশ দেখতে পায় থমাসের চেম্বার থেকে তাজা রক্ত বেরিয়ে আসছে। পরে দরজা ভেঙে চেম্বারে ঢুকে দেখা যায়, মার্কিন এ ধনকুবেরের মাথা টেবিলে হেলে রয়েছে। আর মেঝেতে বন্দুক পড়ে রয়েছে। তাকে উদ্ধার করার সময় দেখা যায়, গুলিতে লি’র মাথা ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে।
এ ঘটনায় কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্ট হয়। প্রথমে সবাই ভেবেছিলেন, হামলাকারী লিকে হত্যা করে পুলিশ আসার আগেই পালিয়ে গেছে। তবে ময়নাতদন্ত ও অন্যান্য বিষয় পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যালোচনা করে নিশ্চিত হওয়া যায়, লি নিজেই মাথায় গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
থমাস লিকে প্রাইভেট ইক্যুইটি ইনভেস্টমেন্ট ও লেভারেজড বায়আউটের অগ্রদূত হিসেবে গণ্য করা হয়। থমাস লি ২০০৬ সালে ‘লি ইক্যুইটি’ প্রতিষ্ঠা করেন ও সেটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে তিনি ‘থমাস এইচ লি পার্টনারের’ সিইও পদে ছিলেন তিনি। এছাড়া বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন লি।
বিখ্যাত মার্কিন ম্যাগাজিন ফোর্বসের তথ্য অনুযায়ী, থমাস লির মোট সম্পত্তির পরিমাণ ২০০ কোটি ডলার। তিনি বিশ্বের ১ হাজার ৫০৭তম ধনী ব্যক্তি ছিলেন।