শিরোনাম
দূরপাল্লার নতুন ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছে ইরান। সম্প্রতি দেশটির রেভল্যুশনারি গার্ডের (আইআরজিসি) মহাকাশ বাহিনীর প্রধান আমিরালি হাজিজাদেহ বলেন, আমরা ১ হাজার ৬৫০ কিলোমিটার পাল্লার একটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছি।
হাজিজাদেহ আরও জানান, অবশ্যই ইরানি কমান্ডার সোলাইমানি হত্যার বদলা নেওয়া হবে। তারা সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোলান্ড ট্রাম্পকে ‘হত্যার পরিকল্পনা’ করছে।
গত বছরের নভেম্বরেই পেন্টাগন বলেছিল, ইরান একটি হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছে বলে ধারণা করছে যুক্তরাষ্ট্র। তিন মাস যেতে না যেতেই বিষয়টি সত্য বলে প্রমাণিত হলো।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেলের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, এক সাক্ষাৎকারে আমিরালি হাজিজাদেহ বলেছেন, শীর্ষ ইরানি কমান্ডারকে হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার কথা আমরা বারবারই বলেছি। আমরা সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ‘হত্যা’ করতে চাইছি।
‘২০২০ সালে বাগদাদে এক ড্রোন হামলায় ইরানের সেনা কমান্ডার কাসেম সোলাইমানি নিহত হন। এর কয়েকদিন পর ইরাকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনীর ওপর ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। সে হামলার প্রসঙ্গ টেনে শুক্রবার হাজিজাদেহ বলেন, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে ‘দরিদ্র সেনাদের’ হত্যার ইচ্ছা ইরানের ছিল না।’
‘খোদার ইচ্ছায় আমরা ট্রাম্পকে হত্যা করতে চাইছি। সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী পম্পেও ও সেনা কমান্ডারদের মধ্যে যারা সোলাইমানিকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন, তাদের অবশ্যই হত্যা করা উচিত।’
ইরানের নেতারা প্রায়ই কঠোর ভাষায় সোলেইমানি হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার অঙ্গীকার করেন। তাছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধিতা ও ইউরোপীয় দেশগুলোর উদ্বেগ বিবেচনায় না নিয়েই, ইরান তার ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে, দেশটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের প্রসার ঘটিয়েছে। তেহরান বলছে, কর্মসূচিটি সম্পূর্ণরূপে প্রতিরক্ষামূলক।
অনেকের ধারণা, একদিকে ইরানের নতুন ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি, অন্যদিকে ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার ইরানি ড্রোন বা অস্ত্র ব্যবহার পশ্চিমা উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে তুলবে। এর আগে ইরান স্বীকার করে, তারা ইউক্রেন যুদ্ধের আগে মস্কোকে ড্রোন সরবরাহ করেছিল। এসব ড্রোন ব্যবহার করেই ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি ও বেসামরিক অবকাঠামোতে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া।