শিরোনাম
ফিলিস্তিনের নাবলুস শহরে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১১ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ১০২ জন, যাদের মধ্যে ছয়জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এসব তথ্য নিশ্চিত করে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় সকাল ১০টার দিকে শহরটিতে অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। এর পরপরই সেখানে তীব্র সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।
জানা গেছে, অভিযানের শুরুতেই শহরের সব প্রবেশ পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়। মূলত এক ফিলিস্তিনি যোদ্ধার বাড়ি ঘেরাওকে কেন্দ্র করে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়। লায়ন্স ডেন নামের ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, অভিযানের সময় ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ হয়।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, এখনো নাবলুস শহরে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য দেয়নি তারা। এদিকে, ২০২৩ সালের শুরু থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা অধিকৃত অঞ্চলে ১৩ শিশুসহ ৬১ জনে দাঁড়িয়েছে।
চলতি বছরের দুই মাস যেতে না যেতেই ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা ও অভিযানে অন্তত ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে, একই সময়ের মধ্যে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর পালটা হামলায় ১০ ইসরায়েলি নিহত হন।
পরিসংখ্যান বলছে, ইসরায়েলের কট্টর ডানপন্থি নেতা বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু নতুন করে ক্ষমতায় আসার পর সহিংসতা আরও বেড়েছে। নেতানিয়াহু ক্ষমতায় এসেই অধিকৃত ফিলিস্তিন অঞ্চলে ইহুদি বসতি স্থাপনকে অগ্রাধিকার দিয়েছে।
সম্প্রতি সৌদি আরবসহ বেশ কয়েকটি মুসলিম দেশের নেতা ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সতর্ক করেছিলেন, দুই পক্ষের মধ্যে সহিংসতার প্রবণতা অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড ও দখলদারত্ব বৃদ্ধির ফলে পরিস্থিতি আরও অশান্ত হতে পারে।
১৯৬৭ সালে মাত্র ছয় দিন যুদ্ধ হওয়ার পর পশ্চিম তীরের দখল নেয় ইসরাইল। বর্তমানে সেখানে প্রায় চার লাখ ৭৫ হাজার ইহুদি বসতি স্থাপন করেছেন। আন্তর্জাতিক আইনে স্থাপনাগুলো অবৈধ বলে বিবেচিত।