শিরোনাম
জাপানের হামামাতসুর এনসু সমুদ্রসৈকতে গোলাকৃতির একটি অজ্ঞাত বস্তু পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার সকালে সৈকতে হাঁটতে গিয়ে এক নারী বস্তুটি দেখতে পান। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে দ্রুত সময়ের মধ্যে গোলাকার ওই বস্তুটি উদ্ধার করা হয়।
জাপানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর বরাতে লন্ডনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিরর জানায়, ওই নারী বিষয়টি জানানোর পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পরে তদন্তের স্বার্থে সাময়িকভাবে সমুদ্রসৈকতটিতে দর্শণার্থী প্রবেশ বন্ধ করে দেওয়া হয়।
একপর্যায়ে জাপারের বিস্ফোরক বিশেজ্ঞরা সেখানে আসেন ও বস্তুটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। এক্স-রে স্ক্যান করে দেখা যায়, বস্তুটির ভেতরের অংশ ফাঁপা। পরবর্তী সময়ে বস্তুটির বেশকয়েকটি ছবি তোলা হয়। সেগুলো আবার পাঠানো হয় জাপানি সশস্ত্র বাহিনী ও উপকূলরক্ষীদের কাছে।
জাপানি কর্মকর্তারা জানান, বস্তুটি আসলে কী, তা এখনো শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তবে এটি কোনো বিস্ফোরক নয়। এটি একটি বিশাল ধাতব বল, যা সমুদ্রের স্রোতে সৈকতে এসে পৌঁছেছে। লোহার তৈরি মরিচা ধরে যাওয়া বলটির ব্যাস প্রায় দেড় মিটার। এটিতে ধাতুর তৈরি হ্যান্ডেলসদৃশ একটি অংশ রয়েছে, যা বস্তুটিকে কোনোকিছুতে আটকে যেতে সাহায্য করে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাসহ বেশকয়েকটি দেশের আকাশে রহস্যময় বস্তুর দেখা মিলেছে। এর মধ্যেই জাপানের সমুদ্র সৈকতে পাওয়া এ বস্তুটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে।
বস্তুটির ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পরপরই অনেকে বলছেন, এটি চীনের কোনো নজরদারি যন্ত্র। অনেকে বলছেন, এটি আকাশ থেকে পড়া ইউএফও। কেউ বা আবার বলছেন, এটি জনপ্রিয় ‘মাঙ্গা সিরিজের’ ড্রাগন বল।
তবে স্থানীয় এক ব্যক্তি সংবাদমাধ্যম এনএইচকে-কে বলেন, ওই বস্তুটি এক মাস ধরেই সমুদ্র সৈকতে পড়ে আছে। আমি বেশ কয়েকবার এটিকে ধাক্কা দিয়ে সরানোর চেষ্টা করেছি, কিন্তু পারিনি। বুঝতে পারছি না, পুলিশ হঠাৎ কেন বস্তুটি নিয়ে এত তৎপর হয়ে উঠলো!