শিরোনাম
তুরস্কে নতুন দুটি ভূমিকম্পে ধসে পড়া বেশকয়েকটি ভবনের নিচে চাপা পড়েছেন অনেকে। তাছাড়া নতুন এ ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত ছয়জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। উদ্ধারকারীরা আবারও ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া লোকদের সন্ধান চালাচ্ছেন।
শতাব্দীর ভয়াবহতম ভূমিকম্প আঘাত হানার দু’সপ্তাহ যেতে না যেতেই সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) তুরস্কের একই অঞ্চলে আঘাত হানে নতুন দুটি ভূমিকম্প। রিখটার স্কেলে প্রথম ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৪। এর কয়েক মিনিট পরেই আঘাত হানে ৫ দশমিক ৮ মাত্রার আরেকটি ভূকম্পন।
ইউরোপীয় ভূমধ্যসাগরীয় ভূকম্প কেন্দ্রের (ইএমএসসি) তথ্যমতে, এবারের ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল তুরস্কের হাতায় প্রদেশে ও কেন্দ্র ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে দুই কিলোমিটার গভীরে। স্থানীয় সময় রাত ৮টা ৪ মিনিটে আঘাত হানা শক্তিশালী এ ভূকম্পন পার্শ্ববর্তী আন্তাকিয়াসহ ২০০ কিলোমিটার দূরে আদানা শহরেও অনুভূত হয়।
তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি সেবা সংস্থা সূত্রে জানা যায়, ৫ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পের পর অন্তত ৩১টি তুলনামূলক মৃদু আফটারশক হয়। এতে আগের ভূমিকম্পে দুর্বল হয়ে যাওয়া ভবনগুলো ধসে পড়ে। এসব ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৯৪ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে, যাদের মধ্যে ১৮ জনের অবস্থা গুরুতর।
দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. ফাহরেতিন কোকা বলেন, এবারের ভূমিকম্পে হতাহতের পরিমাণ কম হয়েছে। কারণ, আগের ভূমিকম্পের পর অঞ্চলটি একপ্রকার ফাঁকা হয়ে গিয়েছিল।
স্থানীয় বাসিন্দা মুনা আল-ওমর তার সাত বছরের ছেলেকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, নতুন ভূমিকম্পের সময় আমি ও আমার ছেলে একটি পার্কের তাঁবুতে ছিলাম। হঠাৎ ভূমকম্প শুরু হয় ও আমার মনে হতে থাকে, পায়ের নিচে পৃথিবী বিভক্ত হয়ে যাবে।
আলী মাজলুম (১৮) নামের এক তরুণ বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, আগের ভূমিকম্পে পরিবারের নিহত সদস্যদের মরদেহের সন্ধান করছি। তার মধ্যেই আরেকটি ভূমিকম্প হলো। আমাদের চোখের সামনে আবারও কয়েকটি ভবন ধসে পড়লো। কী করবো কিছুই বুঝতে পারছি না।
অন্যান্য স্থানীয় বাসিন্দা জানান, এবারের ভূমিকম্পের পর তারা কাছাকাছি থাকা একটি ইনডোর ভলিবল ফিল্ডে আশ্রয় নেন। সোমবার রাতে সেখানে প্রায় ৬০০ জন মানুষ জড়ো হন।
কর্তৃপক্ষ বিবিসিকে জানায়, ইনডোর ভলিবল ফিল্ডটি মজবুত ও ভূমিকম্প নিরধক। ৬ ফেব্রুয়ারির ভূমিকম্পের পরে এটিকে উদ্ধারকেন্দ্রে রূপান্তরিত হয়েছিল।