শিরোনাম
আরও একটি ব্যয়বহুল মেগা প্রকল্পের ঘোষণা দিলো সৌদি আরব। গত বৃহস্পতিবার ‘নিউ মুরাবা’ নামে নতুন উচ্চাভিলাষী এই প্রকল্পের ঘোষণা দিয়েছেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। বিশাল এই প্রকল্প রাজধানী রিয়াদের প্রাণকেন্দ্রকে পুরোপুরি বদলে দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরবি শব্দ মুরাবা অর্থ বর্গ। প্রকল্পটির মূল স্থাপনা বর্গাকৃতির হওয়ায় এর এমন নাম বেছে নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের সম্ভাব্য রূপ সম্পর্কে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে সৌদি কর্তৃপক্ষ।
ভিডিওতে বলা হচ্ছে, আল মুরাবা প্রকল্পের আকার হবে নিউইয়র্কের বিখ্যাত এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিংয়ের ২০ গুণ।
আরব নিউজের খবর অনুসারে, প্রকল্পটির ভেতর একটি জাদুঘর, একটি প্রযুক্তি ও নকশা বিশ্ববিদ্যালয়, একটি থিয়েটার, ৮০টির বেশি বিনোদন ও সাংস্কৃতিক ভেন্যু থাকবে।
নিউ মুরাবায় ফ্লোর এরিয়া হবে সর্বমোট ২ কোটি ৫০ লাখ বর্গকিলোমিটার, আবাসিক ইউনিট থাকবে ১ লাখ ৪ হাজার, হোটেল রুম নয় হাজারটি, ৯ লাখ ৮০ হাজার বর্গমিটার রিটেইল স্পেস, ১৪ লাখ বর্গমিটার অফিস স্পেস এবং ১৮ লাখ বর্গমিটার কমিউনিটি স্থাপনা।
সুবিশাল প্রকল্পের ভেতর থাকবে নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থা এবং বিমানবন্দর থেকে এর দূরত্ব হবে মাত্র ২০ মিনিটের রাস্তা।
সৌদি আরবের সার্বভৌম সম্পদ তহবিল পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড (পিআইএফ) এই মেগা প্রকল্পে অর্থায়ন করছে। এটি বাস্তবায়নে কত খরচ হবে তা নিশ্চিত করা না হলেও বলা হচ্ছে, নিউ মুরাবার মাধ্যমে সৌদির অর্থনীতিতে পাঁচ হাজার কোটি ডলার যোগ করবে। এতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থান হবে অন্তত ৩ লাখ ৩৪ হাজার মানুষের। প্রকল্পটির কাজ ২০৩০ সালের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তবে সৌদি সরকারের এই ‘ইতিবাচক’ প্রকল্পটির সমালোচনা করেছেন অনেকে। বিশেষ করে, এর আকৃতির কারণে। বর্গাকার স্থাপনাটিকে অনেকেই ‘নতুন কাবা’ অথবা ‘বিনোদনের কাবা’ বলে দাবি করেছেন কেউ কেউ।
শিক্ষাবিদ ড. মুহাম্মদ আল-হাকিমি আল-হামিদি প্রশ্ন তুলেছেন, মোহাম্মদ বিন সালমান কি রিয়াদে নিজস্ব কাবা তৈরি করছেন? এটিই তার সবশেষ প্রকল্পের জন্য বেছে নেওয়া নকশা: বিনোদনের ‘কাবা’!
ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক আসাদ আবু খলিল টুইটারে বলেছেন, মনে হচ্ছে সৌদি যুবরাজ তার নিজস্ব কাবা তৈরি করছেন।
তবে এ ধরনের সমালোচনার কড়া জবাবও দিয়েছেন অনেকে, বিশেষ করে সৌদিবাসীরা। টুইটারে একজনের মন্তব্য, বিদেশি মুসলিমদের প্রভাবিত করা এত সহজ কেন? যদি ঘনাকৃতির প্রত্যেকটি ভবনই ‘নতুন কাবা’ হয়, তাহলে রিয়াদে এ ধরনের লাখ লাখ ‘কাবা’ পাওয়া যাবে। কারণ সেখানে ঘনাকৃতির অসংখ্য ভবন রয়েছে।