বিবিসি’র অ্যাকাউন্টসে ‘গরমিল’ খুঁজে পেয়েছে ভারত

ফানাম নিউজ
  ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২২:২৪

ভারতে বিবিসির অ্যাকাউন্টসে অনিয়ম খুঁজে পাওয়ার দাবি করেছে দেশটির আয়কর বিভাগ। সংস্থাটির দিল্লি-মুম্বাইয়ের অফিসে টানা তিন দিনের অভিযানে এসব গরমিলের তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।

দেশটির আয়কর বিভাগের বিবৃতিতে অবশ্য স্পষ্ট করে বিবিসির নাম উল্লেখ করা হয়নি। তবে তাদের এই বিবৃতি জারি করা হয়েছে দিল্লি ও মুম্বাইয়ে বিবিসির দুটি অফিসে হানা দেওয়ার পরেই। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে বিবিসির একটি তথ্যচিত্র নিয়ে বিতর্ক চলার মধ্যেই অনিয়মের এই অভিযোগ উঠলো।

কী অভিযোগ আয়কর বিভাগের?

ভারতীয় আয়কর বিভাগ গত শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) জারি করা বিবৃতিতে বলেছে, তারা ‘একটি নামকরা আন্তর্জাতিক মিডিয়া সংস্থার’ দিল্লি ও মুম্বাই অফিসে অভিযান চালিয়েছিল। সংস্থাটি ‘হিন্দি, ইংরেজি এবং আরও কয়েকটি ভাষায় অনুষ্ঠান প্রস্তুত করে’।

সংস্থাটি আয় ও লাভের যে অংক দেখিয়েছে, তা ভারতে তাদের কার্যক্রমের সঙ্গে ‘সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে।

আয়কর বিভাগ বলছে, তদন্তে এমন ইঙ্গিত পাওয়া গেছে, এই বিদেশি সংস্থার কিছু অংশের রেমিট্যান্সকে ভারতে আয় হিসেবে দেখানো হয়নি এবং তার ওপর কর জমা দেওয়া হয়নি।

বিবিসির প্রতিক্রিয়া

আয়কর বিভাগের অভিযানের মুখে গত বৃহস্পতিবার বিবিসি জানিয়েছিল, তারা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে এবং আশা করবে, বিষয়গুলো দ্রুত নিষ্পত্তি হবে।

বিবিসি বলেছিল, তারা কর্মীদের পাশে রয়েছে, বিশেষ করে যাদের দীর্ঘসময় জেরার সম্মুখীন হতে হয়েছে বা রাতে অফিসেই থেকে যেতে হয়েছে, তাদের সুস্থতা বিবিসির কাছে অগ্রাধিকার।

সংস্থাটি বলেছে, আমাদের সংবাদ সংক্রান্ত কাজকর্ম স্বাভাবিক হয়ে গেছে এবং আমরা ভারত ও তার বাইরে দর্শক-শ্রোতাদের সংবাদ পরিবেশনের জন্য দায়বদ্ধ।

বিবিসির বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, বিবিসি একটি নির্ভরযোগ্য, স্বাধীন সংবাদ প্রতিষ্ঠান এবং আমরা আমাদের সহকর্মী ও সাংবাদিকদের পাশে রয়েছি।

বিবিসির তথ্যচিত্র নিয়ে বিতর্ক

গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে নির্মিতি বিবিসির তথ্যচিত্র ‘ইন্ডিয়া: দ্যা মোদী কোয়েশ্চেন’ শুধু যুক্তরাজ্যের টেলিভিশনে দেখানো হয়েছিল। কিন্তু সেটি যেন ভারতে কেউ দেখতে বা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিতে না পারে, তা আটকাতে মরিয়া চেষ্টা চালায় মোদী সরকার।

তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, বিবিসির তথ্যচিত্রটি ‘শত্রুতাপূর্ণ প্রচার এবং ভারত-বিরোধী জঞ্জাল’। এটি ‘ঔপনিবেশিক মানসিকতা’ নিয়ে’ বানানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ভারত সরকার।

সূত্র: বিবিসি বাংলা