শিরোনাম
শতাব্দীর ভয়াবহতম ভূমিকম্পের দু’সপ্তাহ যেতে না যেতেই ফের রক্তক্ষয়ী হামলার শিকার সিরিয়া। দেশটির মধ্যাঞ্চলীয় হোমস প্রদেশে শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বর্বরোচিত হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৫৩ জন। এ ঘটনায় জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস’কে দায়ী করেছে সিরীয় সরকার।
শনিবার সিরীয় বার্তা সংস্থা সানার বরাতে আল-জাজিরা জানিয়েছে, পালমিরা স্টেট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া মরদেহগুলোর মাথায় গুলির চিহ্ন ছিল।
ভুক্তভোগীরা মরুভূমিতে ট্রাফল সংগ্রহে গিয়েছিলেন বলে জানা গেছে। ট্রাফল হলো একধরনের দামি মাশরুম জাতীয় খাবার।
সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে, হোমস প্রদেশের পূর্বে আল-সোখনা শহরের দক্ষিণ-পশ্চিমে আইএস জঙ্গিদের আক্রমণে ৫৩ জন নিহত হয়েছেন। তারা মরুভূমির মধ্যে ট্রাফল সংগ্রহে গিয়েছিলেন। ওই সময় ভুক্তভোগীরা হামলার শিকার হন।
হোমস প্রদেশ বর্তমানে সিরীয় সরকার ও তার মিত্রদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
পালমিরা হাসপাতালের পরিচালক ওয়ালিদ অডি জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে ৪৬ জন বেসামরিক নাগরিক এবং সাতজন সেনা সদস্য রয়েছেন। আহত পাঁচজনকে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
বেঁচে যাওয়া একজন বার্তা সংস্থা সানাকে বলেছেন, আইএস জঙ্গিরা তাদের গাড়িগুলো পুড়িয়ে দিয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ দায়স্বীকার করেনি।
এদিকে, গত ৬ ফেব্রুয়ারি তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তে আঘাত হানে ৭ দশমিক ৮ ও ৭ দশমিক ৬ মাত্রার দুটি ভয়াবহ ভূমিকম্প। এর আঘাতে নিহতের সংখ্যা এরই মধ্যে ৪৫ হাজার ছাড়িয়েছে। কেবল তুরস্কেই মারা গেছেন ৩৯ হাজার ৬৭২ জন এবং সিরিয়ায় মৃত্যু হয়েছে প্রায় ছয় হাজার জনের।
এছাড়া তুরস্কে ভূমিকম্পে নিহত দেড় হাজারের বেশি সিরীয় নাগরিকের মরদেহ সিরিয়ায় ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এখনো বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা রয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফলে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
সিরীয় সরকার এবং জাতিসংঘ জানিয়েছে, ভূমিকম্পে সিরিয়ায় মারা গেছেন অন্তত ৫ হাজার ৮০০ জন। তবে এই সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। কয়েকদিন ধরেই যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে মৃতের সংখ্যা বাড়েনি।
ভূমিকম্প আঘাত হানার তিন দিন পর সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে প্রথম সাহায্য পৌঁছেছিল। জাতিসংঘ জানিয়েছে, গত ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত মোট ১৭৮টি ত্রাণবাহী ট্রাক তুরস্ক থেকে সিরিয়ার ওই অঞ্চলে প্রবেশ করেছে।