শিরোনাম
শক্তিশালী ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত সিরিয়া এবং তুরস্কের পাশে দাঁড়িয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার। ২০২২ সালের ফিফা ওয়ার্ল্ডকাপে ব্যবহৃত ১০ হাজার পোর্টাকেবিন এবং মোবাইল হোম এই দুই দেশে পাঠানো হচ্ছে। খেলা দেখতে আসা ভক্ত ও দর্শকদের জন্যই এ ধরনের অস্থায়ী আবাসন তৈরি করা হয়েছিল। এক কাতারি কর্মকর্তা রয়টার্সকে এ তথ্য জানান।
গত সোমবার ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তুরস্ক ও সিরিয়া। ফলে হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়ে। গৃহহীন লোকজনকে আশ্রয় দিতে পোর্টাকেবিনগুলো ব্যবহৃত হবে।
তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে গত ৬ ফেব্রুয়ারি আঘাত হানা ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ৪৫ হাজার ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে তুরস্কে ৩৯ হাজার ৬৭২ এবং সিরিয়ায় ৫ হাজার ৮শ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
গত রোববার কাতার থেকে ৩৫০টি কাঠামোর প্রথম ইউনিট পাঠানো হয়েছে বলে কর্মকর্তারা রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছেন। এক টুইট বার্তায় কাতারের ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্ট জানিয়েছে, বিশ্বকাপে ব্যবহৃত ১০ হাজার মোবাইল হোম তুরস্ক-সিরিয়ায় পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কাতার।
কর্মকর্তারা রয়টার্সকে বলেন, তুরস্ক এবং সিরিয়ায় জরুরি ভিত্তিতে আমাদের কেবিন এবং ক্যারাভ্যান পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। দেশ দুটিকে তাৎক্ষণিক সহায়তা দিতেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
বিশ্বকাপের সময় ভক্ত ও দর্শকদের জন্য দোহার আশেপাশের মরুভূমির খালি জায়গায় কেবিন স্থাপন করেছিল কাতার। এক রাতে এসব কেবিনে অবস্থানের জন্য ভক্তদের প্রায় ২শ ডলার করে খরচ করতে হয়েছে। এতে নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত মাসব্যাপী টুর্নামেন্টের সময় সম্ভাব্য আবাসন ঘাটতি এড়ানো সম্ভব হয়েছে।