শিরোনাম
তুরস্ক-সিরিয়ায় গত সপ্তাহের ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ৪৫ হাজার ছাড়িয়েছে। কেবল তুরস্কেই প্রাণহানি ৪০ হাজার ছুঁইছুঁই করছে। সিরিয়ায় মারা গেছেন প্রায় ছয় হাজার। এছাড়া তুরস্কে ভূমিকম্পে নিহত দেড় হাজারের বেশি সিরীয় নাগরিকের মরদেহ সিরিয়ায় ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এখনো বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা রয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফলে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার খবর অনুসারে, তুরস্কে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৯ হাজার ৬৭২ জনে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সিরীয় সরকার এবং জাতিসংঘ জানিয়েছে, ভূমিকম্পে সিরিয়ায় মারা গেছেন অন্তত ৫ হাজার ৮০০ জন। তবে এই সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। কয়েকদিন ধরেই যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে মৃতের সংখ্যা বাড়েনি।
এক তুর্কি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভূমিকম্পে নিহত দেড় হাজারের বেশি সিরীয় নাগরিকের মরদেহ তুরস্ক থেকে সিরিয়ায় ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তারা শরণার্থী হিসেবে তুরস্কে আশ্রয় নিয়েছিলেন বলে জানা গেছে। বাব আল-হাওয়া সীমান্ত ক্রসিং দিয়ে ১ হাজার ৫২২টি মরদেহ সিরিয়ায় কবর দেওয়ার জন্য পাঠানো হয়েছে।
বেঁচে যাওয়া সিরীয় শরণার্থীদের মধ্যেও অনেকে স্বদেশে ফিরতে শুরু করেছেন। ভূমিকম্পের পরের দিন, অর্থাৎ গত ৭ ফেব্রুয়ারি অন্তত ১ হাজার ৭৯৭ জন সিরীয় সীমান্ত পাড়ি দিয়েছেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
তুরস্কের নগরায়ন মন্ত্রণালয়ের ধারণা, ভূমিকম্পের আঘাতে দেশটিতে ৮৪ হাজার ৭০০টির বেশি ভবন ধসে পড়েছে বা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ভূমিকম্প আঘাত হানার তিন দিন পর সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে প্রথম সাহায্য পৌঁছেছিল। জাতিসংঘ জানিয়েছে, গত ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত মোট ১৭৮টি ত্রাণবাহী ট্রাক তুরস্ক থেকে সিরিয়ার ওই অঞ্চলে প্রবেশ করেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্পে নিহতদের স্মরণে গত শুক্রবার বিশ্বজুড়ে মসজিদে মসজিদে গায়েবানা জানাজা আদায় করেছেন মুসলিমরা।