শিরোনাম
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিনিয়োগ গবেষণা সংস্থা হিনডেনবার্গ রিসার্চের তোলা অভিযোগের ভিত্তিতে গৌতম আদানির মালিকানাধীন কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে ভারতের অর্থনৈতিক বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা। শেয়ারবাজার কারসাজি এবং আর্থিক জালিয়াতির অভিযোগ ওঠার পর থেকে এরই মধ্যে ১০ হাজার কোটি মার্কিন ডলারের বেশি লোকসান হয়েছে ভারতীয় এ ধনকুবেরের। যদিও এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে আদানি গ্রুপ।
গত সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের কাছে এক আবেদনে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অব ইন্ডিয়া (এসইবিআই) বলেছে, হিনডেনবার্গ রিসার্চের প্রতিবেদন প্রকাশের আগে এবং পরে শেয়ারবাজারে আদানি গ্রুপের কার্যকলাপ যাচাই এবং অভিযোগগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা হচ্ছে।
আবেদনে বলা হয়েছে, সিকিউরিটিজ বাজারের স্থিতিশীল ক্রিয়াকলাপ ও উন্নয়নের জন্য নিয়ন্ত্রক কাঠামো স্থাপনের প্রশ্নে এসইবিআই দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং পর্যাপ্ত ক্ষমতাপ্রাপ্ত।
এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য বিবিসির অনুরোধে সাড়া দেয়নি আদানি গ্রুপ। তবে এর আগে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে গোষ্ঠীটি বলেছিল, তাদের অর্থপ্রবাহ জোরদার রয়েছে এবং এর ব্যবসায়িক পরিকল্পনাগুলোতে সম্পূর্ণ অর্থায়ন করা হয়েছে।
গোষ্ঠীর প্রধান কোম্পানি আদানি এন্টারপ্রাইজেস গত অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর– এই তিন মাসে প্রায় ১০ কোটি ডলার মুনাফার কথা ঘোষণা করেছে। গত বছর একই সময়ে কোম্পানিটি দেড় কোটি ডলার লোকসানের কথা জানিয়েছিল। তবে বিমানবন্দর, কয়লা এবং শুদ্ধ জ্বালানি ব্যবসায় শক্তিশালী পারফরম্যান্সের সুবাদে এবার তাদের আয় ৪২ শতাংশ বেড়ে ৩৩০ কোটি ডলার হয়েছে।
গত মাসে আদানি এন্টারপ্রাইজেসের শেয়ারের দর প্রায় ৫০ শতাংশ কমেছে। এছাড়া, হিনডেনবার্গের প্রতিবেদন প্রকাশের একটি পরিবেশবান্ধব হাইড্রোজেন জ্বালানি প্রকল্পের বিষয়ে আদানির সঙ্গে অংশীদারত্ব স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফ্রান্সের টোটালএনার্জি। তবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি আদানি গ্রুপ।
আদানি গ্রুপে সাতটি কোম্পানি রয়েছে যারা ভোগ্যপণ্য, বিমানবন্দর, সেবা, নৌ-বন্দর এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ বিভিন্ন খাতে কাজ করে থাকে।
গত ২৪ জানুয়ারি এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে আদানির বিরুদ্ধে ‘করপোরেট জগতের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ধোঁকাবাজি’র অভিযোগ তোলে হিনডেনবার্গ রিসার্চ। তাদের দাবি, আদানি গ্রুপের কোম্পানিগুলো কয়েক দশক ধরে শেয়ারবাজারে ধোঁকাবাজি এবং হিসাবপত্র জালিয়াতি করে আসছে।
হিনডেনবার্গ রিসার্চ আরও দাবি করেছে, আদানির কোম্পানিগুলোর কাঁধে বিশাল ঋণ রয়েছে, যা পুরো গ্রুপটির অর্থনৈতিক ভিত্তিকে অনিশ্চিত করে তুলেছে।