শিরোনাম
যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বেলুনকাণ্ড নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এরমধ্যেই জানা গেলো, চীন সফরে যাচ্ছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের আমন্ত্রণেই তার এই সফর। ধারণা করা হচ্ছে, দেশ দুইটির মধ্যে সম্পর্ক আরও জোড়ালো হবে। খবর ব্লুমবার্গের।
বিস্তারিত কোনো তথ্য না দিয়েই চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ১৪ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি ইরানের প্রেসিডেন্ট চীন সফর করতে পারেন।
এর আগে গত ডিসেম্বরে চীনের উপ-প্রধানমন্ত্রী তেহরান সফর করেন। যদিও ইরানে যে দীর্ঘ বিক্ষোভ চলছে সেখান থেকে দূরত্ব বজায় রাখছে চীন। গত মাসে সৌদি সফরে গিয়েছিলেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। কিন্তু সে সময় তিনি ইরানে যাননি।
ইরানের জন্য চীন হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক অংশীদার। কারণ মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পরও চীন দেশটি থেকে জ্বালানি তেল আমদানি করে। তাছাড়া এরই মধ্যে দেশ দুইটি গুরুত্বপূর্ণ চুুক্তিও বাস্তবায়ন শুরু করেছে।
শুধু চীন নয়, রাশিয়ার সঙ্গেও সম্পর্ক বাড়িয়ে চলেছে ইরান। অন্যদিকে চীন রাশিয়াকে কৌশলগত অংশীদার মনে করে। মূলত মার্কিন চাপ মোকাবিলায় তেহরান ও মস্কো সম্পর্ক আরও গভীর করার চেষ্টা করছে। ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়া ইরান থেকে অস্ত্র পাচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের আকাশসীমায় উড়তে থাকা চীনের একটি বেলুন ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে ভূপাতিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন।
শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের ক্যারোলিনা উপকূলে বেলুনটি ভূপাতিত করা হয়েছে। বেলুনটি বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমান দিয়ে ভূপাতিত করা হয়। এ ঘটনার পর চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে নতুন করে টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে।