শিরোনাম
কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নের পরিসর বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সহ-সভাপতি মাজহারুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘কলকাতা বইমেলায় অন্য দেশের প্যাভিলিয়ন আছে কিন্তু বাংলা বইয়ের পাঠকই বেশি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের প্যাভিলিয়নের ভিড়ই বলে দিচ্ছে যে বাংলাদেশি বইয়ের পাঠকের সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু স্থান সংকুলানের কারণে এ বছর ৪৩টি প্রকাশনী সংস্থা এসেছে। এতটাই ভিড় হয়েছে যে স্টলগুলোতে দাঁড়িয়ে বই নেড়েচেড়ে দেখার সুযোগ নেই। ফলে কলকাতা বইমেলা কর্তৃপক্ষ যাতে বিবেচনা করেন, পাঠকদের সুবিধার্থে আগামী বছর পাঁচ হাজার বর্গফুট জায়গা দেওয়া হয়।’
মাজহারুল বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে একটি আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে। সেই জায়গাটি আমাদের শিল্পসাহিত্য ও সংস্কৃতির। দুই দেশের মধ্যে যে সেতু তৈরি হয়েছে তার মূল ভিত্তিই রবীন্দ্রনাথ, নজরুল ইসলাম, জীবনানন্দ দাশ। সেক্ষেত্রে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে এই সম্পর্ককে আটকানো যাবে না।’
৪৬তম কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) পালন করা হলো বাংলাদেশ দিবস। সেদিন সন্ধ্যায় সল্টলেকের এসবিআই প্রাঙ্গণে আয়োজন করা হয় এ অনুষ্ঠানের।
মাজহারুল ইসলাম ছাড়াও আলোচনা অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট লেখক ও সাংবাদিক সুভাষ সিংহ রায়, ভারতের বিশিষ্ট কবি বীথি চট্টোপাধ্যায়, কলকাতা পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডের সভাপতি সুধাংশু শেখর দে, সম্পাদক ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস।
অন্যদিকে, কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়ার অংশ হিসেবেই চলতি বছরেই ঢাকায় আয়োজন করার দাবি জানান কলকাতা বইমেলার আয়োজক সংস্থা কলকাতা পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়।
তিনি বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী বলেছিলেন কলকাতা বইমেলাকে যেন ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
শনিবার সরকারি ছুটির দিন থাকায় বইমেলা প্রাঙ্গণ জনজোয়ারে পরিণত হয়। বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নেও তিলধারণের জায়গা ছিল না।
উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস বলেন, ‘যতই ডিজিটাল যুগের রমরমা অবস্থা হোক না কেন, ছাপা বইয়ের চাহিদা কোনোদিনই কমবে না। বছরের পর বছর এর চাহিদা থাকবে।’