শিরোনাম
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে বিধানসভা ভোটের প্রচারে এই বছর কার্যত শেষ সপ্তাহকেই টার্গেট করেছে প্রায় সবক'টি রাজনৈতিক দল। নির্বাচনের বাকি আর মাত্র ১২ দিন। এই অবস্থায়ও নির্বাচনী ময়দানে তেমন করে কাউকে দেখা যাচ্ছে না।
তবে বিভিন্ন দলীয় সূত্রে খবর, চমক দিতে প্রত্যেকেই তাদের তারকা প্রচারকদেরকে একেবারে শেষ মুহূর্তে আনতে চাইছেন রাজ্যে।
জানা গেছে, ক্ষমতাসীন বিজেপির পক্ষে আঠারোর বিধানসভা নির্বাচনের ন্যায় এ বছরও আসতে চলেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে তিনি কবে নাগাদ রাজ্যে আসছেন তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। আলোচনা চলছে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনী প্রচারে গতি আনতে রাজ্যে আসতে পারেন মোদী।
অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, ৬ ফেব্রুয়ারি রাজ্যে আসছেন বঙ্গ তৃণমূল নেত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী।
এদিকে একই অবস্থা বিরোধী বাম কংগ্রেস জোটেরও। নির্বাচনী প্রচারে এখনো পর্যন্ত কোনো ধরনের তারকা প্রচারকের দেখা নেই রাজ্যে। তবে তারা জানান, জোট ইস্যুতে ব্যস্ত হয়ে পড়ায় চূড়ান্ত করা হয়নি এসব। তবে বামদের পক্ষে সর্বভারতীয় সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, কংগ্রেসের পক্ষে সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খারগে যে ভোট প্রচারে রাজ্যে আসছেন এটা অন্তত স্পষ্ট করেই জানিয়েছেন তারা।
বাম কংগ্রেস জোটের সামনে কিছুটা ব্যাকফুটে চলে যাওয়া বিজেপি অবশ্য এদিক থেকে কিছুটা হলেও এগিয়ে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে ভোট প্রচারের প্রধান মুখ করতে না পারলেও এরই মধ্যে রাজ্যে এসে ভোট প্রচার করে গিয়েছেন সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎ প্রকাশ নাড্ডা। দিন কয়েকের ব্যবধানে টানা দুইবার এসে গিয়েছেন চিত্র তারকা মিঠুন চক্রবর্তী। এছাড়াও বেশ ক’জন সাংসদ তো এসেছেনই।
তাছাড়া পাহাড়ের ভোট নিয়ে রাজনৈতিক পরিস্থিতি একপ্রকার চরমে উঠেছে ত্রিপুরায়। আঠারোর বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে পাহাড়ে নিজেদের অস্তিত্ব এক প্রকার ধরে রাখতে না পেরে শাসক বিজেপি বৈঠক করে তিপ্রা মথার সঙ্গে। কিন্তু মথা সুপ্রিমো গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ড ইসুতে তার সিদ্ধান্তে অনঢ় থাকায় কোনো অবস্থাতেই সারা মিলেনি জোট ইস্যুতে। অবশেষে ৪২ আসনে প্রার্থী দিয়ে এককভাবে লড়াইয়ের কথা ভাবছে তিপ্রা মথা।