শিরোনাম
যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের ভাই ভারতের ধনকুবের গৌতম আদানির সম্পৃক্ত কোম্পানি থেকে পদত্যাগ করেছেন। লর্ড জো জনসন, সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের ছোট ভাই। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একটি বিনিয়োগ সংস্থা আদানি এন্টারপ্রাইজ ফলো-অন পাবলিক অফার (এফপিও) এর সঙ্গে ছিলেন তিনি।
দ্য ফিনান্সিয়াল টাইমস সংবাদপত্র, যুক্তরাজ্যের কোম্পানিটির হাউসের রেকর্ডের কথা উল্লেখ করে বলছে, ৫১ বছর বয়সী লর্ড জনসন গত বছরের জুনে লন্ডন-ভিত্তিক ইলারা ক্যাপিটাল পিএলসি-র ‘নন-এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর’ হিসাবে যোগ দিয়েছিলেন। গত বুধবার পদত্যাগ করার ঘোষণা দেন তিনি।
ইলারা, ভারতীয় কর্পোরেটদের জন্য তহবিল সংগ্রহের একটি পুঁজিবাজার ব্যবসার ফার্ম হিসাবে পরিচিত। জনসন বলেন, তিনি কোম্পানির ‘ভালো অবস্থান’ সম্পর্কে আশ্বস্ত হয়েছেন এবং তার নিজের ‘ডোমেইন দক্ষতার’ অভাবে পদত্যাগ করছেন।
পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার পর এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আমি যুক্তরাজ্য এবং ভারতের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্কে অবদান রাখার প্রত্যাশা নিয়ে গত জুন মাসে লন্ডনে অবস্থিত বিনিয়োগ সংস্থা ইলারা ক্যাপিটালের বোর্ডে যোগদান করি। আমি দীর্ঘদিন ধরে সমর্থন করেছি এটির।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি ইলারা ক্যাপিটাল থেকে ক্রমাগত আশ্বাস পেয়েছি, এটি তার আইনি বাধ্যবাধকতাগুলোর সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর সঙ্গে ভালো অবস্থানে রয়েছে। একই সময়ে, আমি এখন স্বীকার করি, এটি এমন একটি ভূমিকা যার জন্য আর্থিক নিয়ন্ত্রণের বিশেষ ক্ষেত্রগুলোতে আরও বেশি ডোমেইন দক্ষতা প্রয়োজন৷’
যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিনডেনবার্গ রিসার্চ ভারতের শীর্ষ ধনীর বিরুদ্ধে ‘করপোরেট জগতের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ধোঁকাবাজি’র অভিযোগ তুলেছে। তাদের দাবি, ভারতীয় পতাকায় শরীর ঢেকে দেশ লুট করছেন গৌতম আদানি। এই খবরে আদানি গ্রুপের কোম্পানিগুলোর সঙ্গে লন্ডনের ফার্ম দ্বারা পরিচালিত মরিশাস-ভিত্তিক ফান্ড নিয়ে ইলারার সম্পদ ব্যবস্থাপনার বিষয়টি নজরে এসেছে।
যদিও আদানি গ্রুপ বরাবরই সব অভিযোগ অস্বীকার করছে। এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন, ভুল তথ্য ছড়ানোরও অভিযোগ করছে তারা।
রাজ ভাট, ইলারা ক্যাপিটালের প্রধান নির্বাহী ও প্রতিষ্ঠাতা এখনও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
কোম্পানির ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, রাজ ভাট, ২০০২ সালে প্রাথমিকভাবে একটি পুঁজিবাজার ট্রেডিং কোম্পানি হিসাবে ইলারা ক্যাপিটাল, পিএলসি প্রতিষ্ঠা করেন। গ্লোবাল ডিপোজিটরি রসিদ (জিডিআর), বিদেশি মুদ্রা রূপান্তরযোগ্য বন্ড (এফসিসিবি) এবং লন্ডন স্টক মার্কেট এর মাধ্যমে ভারতীয় কর্পোরেটদের জন্য তহবিল সংগ্রহ করে এই কোম্পানি।
২০০৩ সালে এটির প্রথম জিডিআর ইস্যু হয়। ইলারা বেশ কয়েকটি ভারতীয় কর্পোরেটের জন্য তহবিল সংগ্রহও করেছে। তারপর থেকে, গ্রুপটি কর্পোরেট উপদেষ্টা, সম্পদ ব্যবস্থাপনা, ব্রোকিং, একীভূতকরণ ও অধিগ্রহণ এবং প্রাইভেট ইক্যুইটিতে আরও বৈচিত্র্যতা এনেছে।
ইলারা শুধু পণ্যের পরিসরে বৈচিত্র্যতা আনেনি, এটি নিউইয়র্ক, সিঙ্গাপুর, মুম্বাই, আহমেদাবাদ এবং লন্ডনে সম্পূর্ণ লাইসেন্সপ্রাপ্ত অফিসের মাধ্যমেও কাজ করছে । তহবিল সংগ্রহের কাজ শুরু করে, ইলারা দ্রুত একটি পূর্ণ-পরিষেবা বিনিয়োগ ব্যাংকে পরিণত হয়।’