মতুয়াদের দেবতার নাম ‘ভুল উচ্চারণ’ মমতার সমালোচনা

ফানাম নিউজ
  ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২৩:৪৩

পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী মালদা জেলা সফরে গেছেন। গত মঙ্গলবার (৩১জানুয়ারি) সেখানে সভা ছিল তার। বক্তব্যে মমতা ব্যানার্জী মতুয়াদের আরাধ্য দেবতা হরিচাঁদ ঠাকুর ও গুরুচাঁদ ঠাকুরের নাম বলতে গিয়ে ‘রঘুচাঁদ’, ‘গরুচাঁদ’ বলেন, যা নিয়ে তোলপাড় গোটা পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি।

মমতা ব্যানার্জী বলেন, মতুয়াদের জন্য কিন্তু আমরা সবটা করেছি। কিন্তু নির্বাচন এলে বিজেপি একটু ভাত খেয়ে বলবে আমি মতুয়ার বন্ধু হয়ে গেলাম, এনআরসি-র নামে সবাইকে বন্ধ করে দেও জেলে, সিটিজেনশিপ আমেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট (সিএএ) নিয়ে মানুষকে ভুল বোঝানো হয়, মতুয়াদের বড় মা যখন বেঁচে ছিল তখন আমি তার চিকিৎসার ব্যবস্থা আমি করে দিয়েছি। কেউ তাকিয়ে দেখেনি। আমরা কন্যাশ্রী কলেজ করে দিয়েছি আপনাদের জন্য। ইউনিভার্সিটি করে দিয়েছি কৃষ্ণনাগরে। এর পরেই মতুয়াদের আরাধ্য দেবতা হরিচাঁদ ঠাকুর ও গুরুচাঁদ ঠাকুরের নাম উচ্চারণ করতে গিয়ে রঘুচাঁদ ও গরুচাঁদ বলে ফেলেন মমতা। সেই নিয়ে রাজ্য রাজনীতি উত্তপ্ত।

এ সময় মঞ্চে বসে থাকা রাজ্যের উদ্বাস্তু সেলের চেয়ারম্যানকে মমতা বলেন, কি রঞ্জিত আমি নামটা ঠিক বলাম কি!, কিন্তু মঞ্চে বসে থাকা রাজ্যের উদ্বাস্তু সেলের চেয়ারম্যান মমতা ব্যানর্জীর ভুলটা ধরিয়ে দেননি।

এই নিয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী ও সারা ভারত মতুয়াদের সংজ্ঞাধিপতি শান্তনু ঠাকুর বলেন, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী আমাদের মতুয়া ধর্ম সম্পর্কে ও ঠাকুর বাড়ির সম্পর্কে বহু কথা বলেছেন। সারা পৃথিবীতে ১০ কোটি মতুয়া এবং সারা ভারতবর্ষে প্রায় ৩-৪ কোটি মতুয়া এবং তাদের আরাধ্য দেবতা শ্রীশ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর ও শ্রীশ্রী গুরুচাঁদ ঠাকুর।

পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ঠাকুরনগর ঠাকুরবাড়িতে অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘের সাধারণ সম্পাদক সুখেন্দ্র নাথ গায়েন সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান, ইচ্ছাকৃতভাবে মমতা ব্যানার্জী মতুয়া ধর্ম গুরুদের নাম বিকৃত করে উচ্চারণ করেছেন এবং তাদের ধর্ম গুরুদের অপমান করেছেন। অবিলম্বে মমতাকে ক্ষমা চাইতে হবে। তা না হলে আগামীদিনে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন।

একই সঙ্গে সব ব্লক স্তরের মতুয়া মহাসংঘকে প্রতিবাদে নামতে বলেছেন। এ বিষয়ে ঠাকুরবাড়ির সংজ্ঞাধিপতি তৃণমূল কংগ্রেসের সাবেক সংসদ সদস্য মমতা বালা ঠাকুর বলেন, মুখ্যমন্ত্রী ইচ্ছাকৃতভাবে হয়তো বা বলতে চাননি। বলার পরে যাদের কাছে সঠিক বলেছেন কি না জানতে চেয়েছলেন তাদের শুধরে দেওয়া উচিত ছিল।