শিরোনাম
জার্মানিতে শাহরাবান নামের এক ইরাকি বংশোদ্ভূত নারীর বিরুদ্ধে নিজের মতো দেখতে এক নারীকে হত্যার ও মৃত্যুর বিষয়ে মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, পারিবারিক কলহ থেকে বাঁচতে মৃত সাজার পরিকল্পনা থেকে এমন ভয়াবহ কাণ্ড করে বসেন তিনি।
জার্মান পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের আগস্টে দক্ষিণ জার্মানির বাভারিয়ায় ইঙ্গলস্টাড শহর পার্ক করা একটি মার্সিডিজ গাড়ির মধ্যে এক তরুণীর লাশ পাওয়া যায়। তার শরীরের বিভিন্ন অংশে একাধিক ছুরিকাঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়।
চেহারায় অনেক মিল থাকায় সেসময় পুলিশ মৃত ওই নারীকে শাহরাবান হিসেবে চিহ্নিত করেন। এমনকি, শাহরাবানের পরিবারও দেহটি তার বলে দাবি করে। পরে তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য পায় পুলিশ। ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ পরীক্ষার পর জানা যায়, মরদেহটি আসলে খাদিজা নামের এক নারীর।
তদন্ত চলাকালে পুলিশ জানায়, আগে থেকেই খুনের জন্য নিজের চেহারার মতো এক নারীকে খুঁজছিলেন শাহরাবান। সামাজিক মাধ্যমে অবিকল তার চেহারার তরুণীদের বিভিন্ন ভুয়া প্রতিশ্রুতি দিয়ে বন্ধুত্বের প্রলোভন দেখাতেন। একপর্যায়ে ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে হত্যার শিকার খাদিজার সঙ্গে যোগাযোগ হয় শাহরাবানের।
ওই বছরের ১৬ আগস্ট খাদিজার সঙ্গে সরাসরি দেখা করার কথা পাকা করেন শাহরাবান। আর বাড়িতে বলেন, মিউনিখে সাবেক স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন। এর পর বন্ধু শাকিরকে নিয়ে হেইলব্রন থেকে অপর তরুণীকে গাড়িতে তুলে নেন শাহরাবান। একপর্যায়ে ইঙ্গলস্টাড দিয়ে ফেরার পথে একটি জঙ্গলে গাড়ি থেকে নামিয়ে খাদিজাকে হত্যা করেন।
পুলিশ জানায়, খুনের অভিযোগে গত বছরের আগস্টে শাহরাবান ও তার বন্ধু শাকিরকে গ্রেফতার করা হয়। দীর্ঘ দিনের তদন্ত শেষে খুনের আসল উদ্দেশ্য প্রকাশ্যে এলো। পুলিশ কর্মকর্তারা এটিকে ‘ডপেলগেঙ্গার মার্ডার’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।