শিরোনাম
পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর পেশওয়ারের মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলার টার্গেটে ছিল পুলিশ। দেশটির প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেছেন, পাকিস্তান রক্ষার দায়িত্ব পালন করেন যারা, তাদের লক্ষ্য করেই সন্ত্রাসীরা ভয়-ভীতি সৃষ্টি করতে চায়।
মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) ভোরের দিকে মসজিদের ধ্বংসাবশেষ থেকে আরও নয়টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। সোমবার (৩০ জানুয়ারি) পেশওয়ারের পুলিশ লাইনস এলাকার মসজিদে হামলার পর এখনও চলছে উদ্ধার কাজ।
কড়া নিরাপত্তা সত্ত্বেও সেখানে কীভাবে হামলা হলো সেটি তদন্তে মাঠে নেমেছে দেশটির সংশ্লিষ্ট বাহিনীর সদস্যরা।
এদিকে, পাকিস্তানি তালেবান (টিটিপি) তাদের একজন কমান্ডারের প্রাথমিক দাবির পরে হামলায় জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছে।
তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) গত বছর নভেম্বরে পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে ‘যুদ্ধবিরতির’ সমাপ্তি টানে। এরপর থেকে দেশটিতে হামলার ঘটনা বেড়ে যায়। গত ডিসেম্বের দেশটির উত্তরাঞ্চলে পুলিশ স্টেশনকে টার্গেট করে টিটিপির হামলায় ৩৩ জন নিহত হন।
পেশওয়ারের পুলিশ প্রধান মুহাম্মাদ ইজাজ খান স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেছেন, হামলার ঘটনার সময় ওই এলাকায় ৩০০ থেকে ৪০০ পুলিশ কর্মকর্তা দায়িত্বরত ছিলেন।
মসজিদটি শহরের সবচেয়ে বেশি নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলো মধ্যে অবস্থিত। পুলিশ সদর দপ্তর, গোয়েন্দা ও সন্ত্রাসবিরোধী ব্যুরো অফিসও রয়েছে ওই এলাকায়।
প্রধানমন্ত্রী শরিফ বলেছেন, হামলার পেছনে ইসরামের কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি আরও বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সমগ্র জাতি ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে।
সিভিল সেক্রেটারিয়েট অ্যাসোসিয়েশন পেশওয়ারের সভাপতি তাসাভুর ইকবাল বলেন, আমি নিয়মিত ওই মসজিদে নামাজ পড়ি। পুলিশ লাইনস এলাকার নিরাপত্তা সবসময়ই কড়া থাকে। এমনকি পরিচয় দেওয়া ও দেহ তল্লাশি ছাড়া কেউই ওই এলাকায় প্রবেশ করতে পারে না।
ইকবাল আরও বলেন, ‘যা ঘটেছে, তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। এটি একটি বড় মসজিদ, যেখানে একই সময়ে চারশ-পাঁচশ মানুষ নামাজ আদায় করতে পারেন।
আফগানিস্তানের সঙ্গে দেশটির সীমান্তবর্তী উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহরে এই হামলার ঘটনা ঘটলো।
এদিকে, ইসলামাবাদ পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক আকবর নাসের খানের নির্দেশে ইসলামাবাদে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় রাজধানীর প্রতিটি সড়কে নজরদারির পাশাপাশি তল্লাশি জোরদার করা হয়েছে। এমনকি, রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ও ভবনগুলোতে স্নাইপার শ্যুটার মোতায়েন করা হয়েছে। সেফ সিটি ক্যামেরার মাধ্যমে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
সূত্র: বিবিসি