শিরোনাম
মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার (৩০ জানুয়ারি) ত্রিপুরায় বিভিন্ন দলের মোট ২২৮ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। সকাল থেকেই এই মনোনয়নপত্র দাখিলকে কেন্দ্র করে সরগরম ছিল জেলা সদরগুলো। প্রায় প্রত্যেক প্রার্থীই জানিয়েছেন, তারা জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আত্মবিশ্বাসী।
দিনের শুরুতেই শাসক বিজেপি তাদের কৃষ্ণনগর কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে মিছিলযোগে প্রার্থীদের নিয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে যায়। মিছিলটি আগরতলার বিভিন্ন পথ অতিক্রম করে শেষে সদর মহাকুমা প্রশাসক অফিসে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে একে একে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন সদর মহকুমার অধীনে থাকা প্রার্থীরা।
একই সময়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন বাম এবং কংগ্রেস প্রার্থীরাও। এদিন বিভিন্ন বিধানসভা কেন্দ্রভিত্তিক মিছিল বের করে কংগ্রেস সিপিআইএম এবং বিজেপি। ধীরে ধীরে মিছিলগুলো এগোতে থাকে মহাকুমা প্রশাসক অফিসের দিকে।
দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র দাখিলের তৎপরতায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় কিছুটা ছন্দপতন ঘটে। সকাল থেকেই রাস্তাঘাটে তেমন কোনো যানবাহন ছিল না। ফলে সমস্যা পোহাতে হয় সাধারণ জনগণকে।
রাজধানী আগরতলার মতো প্রায় একই চিত্র দেখা গেছে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা এবং মহকুমায়ও। দুপুর ১২টার দিকে সোনামুড়া মহকুমা প্রশাসকের অফিসে মনোনয়নপত্র জমা দেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক। এছাড়া কাঞ্চনপুর মহকুমা প্রশাসক অফিসে সমাজকল্যাণমন্ত্রী সান্ত্বনা চাকমা, জিরানিয়া মহকুমা প্রশাসক অফিসে তথ্য সংস্কৃতি মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী মনোনয়নপত্র জমা দেন।
শাসক দল বিজেপির পক্ষে এদিন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন মোট ৫৫ জন প্রার্থী। এছাড়া শরিক আইপিএফটির পক্ষে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন পাঁচজন। বিরোধী সিপিআইএম মোট ৪৩টি আসনে মনোনয়নপত্র জমা করার কথা থাকলেও অতিরিক্ত হিসেবে পশ্চিম ত্রিপুরার প্রায় সব কয়টি আসনেই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে। এক্ষেত্রে কংগ্রেস ১৭টি থেকে পিছিয়ে ১৬টি আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে, জোটের আশা নিয়ে দীর্ঘদিন অপেক্ষারত তিপ্রা মথা গত রোববার রাতে ২০টি আসনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেন। এরপর সোমবার সকাল থেকে দুই দফায় আরও ২২টি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন মথা সুপ্রিমো প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মন।
মনোনয়নপত্র দাখিল শেষে সন্ধ্যায় রাজ্য নির্বাচন কর্মকর্তা কিরণ গিত্যে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত বিভিন্ন দলের মোট ৭৭টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছিল। সেই তুলনায় শুধু সোমবার জমা পড়েছে ২২৮টি মনোনয়নপত্র। রাজ্যের ইতিহাসে এটি নজিরবিহীন। তবে কোনো ক্ষেত্রেই মনোনয়নপত্র দাখিলকে কেন্দ্র করে অপ্রীতিকর ঘটনার খবর নেই বলে জানিয়েছেন তিনি।