শিরোনাম
ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের উত্তেজনার মধ্যে মধ্যপ্রাচ্য সফর করছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। তিনদিনের সফর শুরুর প্রথম দিন তিনি মিশরে পৌঁছেছেন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ সফরে প্রাধান্য পাচ্ছে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন ইস্যু, ইউক্রেন যুদ্ধ ও ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি।
কায়রোর পর অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন সোম ও মঙ্গলবার জেরুজালেম এবং রামাল্লায় যাবেন। তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও ফিলিস্তিন প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গেও দেখা করবেন।
ব্লিঙ্কেনের সফরের পরিকল্পনা করা হয় নেতানিয়াহুর নতুন ডানপন্থি সরকারকে কেন্দ্র করে। কেননা ইসরায়েলের দিকনির্দেশনার ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। একই সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে শান্তি আলোচনা স্থগিত হয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে ১০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হন। এ ঘটনার পর অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমে উপাসনালয়ের বাইরে সাতজন ইসরায়েলিকে হত্যার ঘটনায় পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সে কারণে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই সফর বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, দেখা যাক, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ সফরের মধ্য দিয়ে কী ফল আসে।
মার্কিন আলোচক অ্যারন ডেভিড মিলার ইসরায়েল ও হামাসের ১১ দিনের যুদ্ধের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘তারা যা করতে পারে তা হলো আরেকটি, ২০২১ সালে মে এড়াতে পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখা।’
দ্য ওয়াশিংটন ইনস্টিটিউটের সাবেক এক ফিলিস্তিন কর্মকর্তা গাইথ আল-ওমারি বলেন, তিনি আশা করেন, ব্লিঙ্কেন নতুন ক্ষেত্র ভাঙার পরিবর্তে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঐতিহ্যগত অবস্থানের পুনরাবৃত্তি করবেন।
তিনি আরও বলেন, ব্লিঙ্কেনের এই সফরই একটি বার্তা বহন করে।
এর আগে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, ব্লিঙ্কেন ‘নিরীহ মানুষের প্রাণ কেড়ে নেওয়া সহিংসতা চক্রের অবসান ঘটাতে ও উত্তেজনা কমাতে পদক্ষেপ নেওয়ার ওপর জোর দেবেন।’
শীর্ষ মার্কিন কূটনীতিক হওয়ার পর জেরুজালেমে ব্লিঙ্কেনের এটি চতুর্থ সফর।
সূত্র: আল-জাজিরা