শিরোনাম
করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট কাবু করে ফেলেছিল অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম বড় শহর সিডনিকে। করোনা ঠেকাতে দ্রুত পদক্ষেপ নেয় কর্তৃপক্ষ। জারি করা হয় লকডাউন। শহরটির ৫০ লাখ মানুষ লকডাউনের মধ্যে ছিলেন। অবশেষে ১০৬ দিন পর স্থানীয় সময় সোমবার (১১ অক্টোবর) তুলে নেওয়া হলো লকডাউন। সূত্র: আল জাজিরা
ঘরবন্দি জীবন থেকে বেরিয়ে এখন সিডনির যে কোনো বাসিন্দা যারা টিকার ডোজ সম্পন্ন করেছেন, তারা চাইলে বের হতে পারবেন। তারা যেতে পারবেন রেস্টুরেন্ট, ক্যাফে, দোকান বা স্যালুনে।
করোনার ডেল্টা ধরনের সংক্রমণ ধীরে ধীরে কমে আসছে নিউ সাউথ ওয়েলসে। সেখানে সোমবার নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ৪৯৬ জন। ১৬ বছরের উর্ধ্বে শহরটির ৭০ শতাংশ মানুষকে পুরোপুরি টিকার আওতায় আনা হয়েছে। ফলে এখন সেখানকার সব কার্যক্রম চালু হচ্ছে। তবে ক্যাফে এবং রেস্টুরেন্টের দরজা খোলা তাদের জন্য যারা প্রমাণ করতে পারবেন যে টিকা নিয়েছেন।
৩৫ বছর বয়সী একজন এএফপিকে বলেন, বন্দিদশা থেকে বের হওয়া সত্যিই ভালো। লকডাউনের মধ্যে প্রচুর হতাশার মধ্য দিয়ে যাওয়া থেকে মুক্তি মিলেছে।
স্থানীয় সময় ১২টা ১ মিনিটে খুলে দেওয়া হয়েছে সবকিছু। অনেককে পরিবার ও বন্ধুদের নিয়ে ঘুরতেও দেখা গেছে।
চলতি বছর জুনে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে যাওয়া বন্ধ ছিল সিডনিতে। বাসিন্দারা সর্বোচ্চ পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে যেতে পারতেন। দোকান পাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, স্যালুন, ক্যাফে, রেস্টুরেন্ট সবই বন্ধ ছিলো। অনেকটা গৃহবন্দি হয়ে পড়েন শহরটির বাসিন্দারা।
নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রধান ডোমেনিক পেরোটে বলেন, আমি দেখতে পাচ্ছি, এটি মুক্তির দিন, স্বাধীনতার দিন। তিনি বলেন, মহামারী ঠেকাতে অস্ট্রেলিয়া সীমান্ত বন্ধ, লকডাউন দেওয়া এবং করোনা পরীক্ষা বাড়িয়ে পরিস্থিতি ভালো করতে সফলতা দেখিয়েছে। তিনি আরও বলেন, বিশ্বের লক্ষ্য হচ্ছে ‘কোভিড-জিরো’-তে পোঁছানো। তবে সিডনি এবং মেলবোর্নের অ্যাপ্রোচ এখন ‘কোভিডের সঙ্গে বাস করা’।