শিরোনাম
মোদীবিরোধী তথ্যচিত্র ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদী কোয়েশ্চেন’ দেখাতে চাওয়ায় দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। সেখান থেকে বেশ কিছু শিক্ষার্থীকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। খবর এনডিটিভির।
এর আগে দেশটির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ায় একই ধরনের অবস্থা তৈরি হয়।
সম্প্রতি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জায়গায় এই তথ্যচিত্র দেখানোর কথা ছিল। যা বন্ধ করতে আগে থেকেই মরিয়া ছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিতর্কিত এই তথ্যচিত্র প্রদর্শন ঘিরে শিক্ষার্থী ও কর্তৃপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে। এক পর্যায়ে এই সংঘর্ষের খবর এল।
মোদীকে নিয়ে বিবিসির তৈরি তথ্যচিত্রটি সারাদেশে তোলপাড় ফেলে দিয়েছে। সরকার এই তথ্যচিত্রের প্রদর্শন বন্ধে মরিয়া। দেশটির তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় টুইটার, ইউটিউবের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে নির্দেশ দিয়েছে বিবিসির তথ্যচিত্র সরিয়ে ফেলতে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দাবি, এই তথ্যচিত্র নির্দিষ্ট ‘উদ্দেশ্যে’ প্রচার পাওয়ার হাতিয়ার। তথ্যচিত্রটি একেবারেই ‘বস্তুনিষ্ঠ’ নয় এবং ‘ঔপনিবেশিক মনোভাবের’ প্রতিফলন।
কিন্তু বিজেপি সরকারের এই দাবি মানতে রাজি নয় বিরোধীদলগুলো। যে কোনো প্রকারে তথ্যচিত্র সরিয়ে ফেলার চেষ্টা করলেও এরই মধ্যে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে এই তথ্যচিত্র দেখানো হচ্ছে। এই প্রতিবাদমূলক প্রদর্শনের সামনের অংশে রয়েছে শিক্ষার্থীরা।
সম্প্রতি গুজরাট দাঙ্গায় ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভূমিকা নিয়ে একটি তথ্যচিত্র প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। এনিয়ে শুরু হয়েছে ভারতজুড়ে রাজনৈতিক বিতর্ক।