শিরোনাম
চলমান পরিস্থিতিতে সুইডেন-ফিনল্যান্ডের সঙ্গে ন্যাটোর সদস্যপদ নিয়ে আলোচনা করা অর্থহীন বলেছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু। শনিবার (২১ জানুয়ারি) সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে তুর্কি দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ ও পবিত্র কোরআন পোড়ানোর পরিপ্রেক্ষিতে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, সুইডেন ও ফিনল্যান্ডকে আলাদাভাবে ন্যাটোতে অন্তর্ভুক্ত করার কোনো প্রস্তাব নেই। আর তারা ন্যাটোতে যোগদানের জন্য আলাদাভাবে নয়, যৌথভাবে আবেদন করেছে।
এদিকে, তুরস্কের সঙ্গে পুনরায় ন্যাটোর সদস্যপদ নিয়ে আলাচনা শুরু করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন সুইডিশ প্রধানমন্ত্রী উলফ ক্রিস্টারসন। কিন্তু আঙ্কারা এ বিষয়ে সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় আলোচনা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেছে।
ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পরই ন্যাটোতে যোগদানের আবেদন করে ফিনল্যান্ড ও সুইডেন। কিন্তু স্টোকহোমের সাম্প্রতিক মুসলিম বিদ্বেষী ওই বিক্ষোভের ফলে তুরস্ক ক্ষুব্ধ হওয়ায় সামরিক জোটটিতে সুইডেনের সদস্যপদ পাওয়া নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে।
তুরস্ক যেহেতু আগে থেকেই ন্যাটোর সদস্য, সেহেতু এটি অন্য দেশকে এ সামরিক জোটে যোগদানে বাধা দেওয়ার এখতিয়ার রাখে। এরই মধ্যে দেশটি সুইডেনের কাছে বেশ কিছু দাবি পেশ করেছে, যার মধ্যে কিছু কুর্দিদের প্রত্যর্পণের বিষয়ও রয়েছে।
সোমবার (২৩ জানুয়ারি) মন্ত্রীসভার বৈঠকে এরদোয়ান বলেন, ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য সুইডেন যেন আমাদের কাছ থেকে সমর্থন পাওয়ার আশা না করে। পরিষ্কার করে বলে দিচ্ছি, যারা আমাদের দূতাবাসের সামনে ওই ধরনের জঘন্য কাজ করতে পারে, তারা আমাদের কাছ থেকে বিন্দুমাত্র সহায়তা পাবে না।
তিনি আরও বলেন, যদি তুরস্ক ও মুসলিমদের প্রতি সুইডেন কোনো সম্মান না দেখায়, তাহলে ন্যাটোসংক্রান্ত কোনো বিষয়ে আমরা তাদের সহায়তা করবো না।
তাছাড়া বিক্ষোভের অনুমতি দেওয়ার সুইডিশ সরকারের সিদ্ধান্তকে অত্যন্ত নিন্দনীয় ও অগ্রহণযোগ্য দাবি করে এরদোয়ান বলেন, কোনো ধর্মকে অপমান করার অধিকার কারও নেই। আর আমরা সবসময় সততার সঙ্গে কথা বলি। আমাদের স্পষ্ট বক্তব্য, যখন কেউ আমাদের অসম্মান করবে, তখন আমরাও তাদের জন্য উপযুক্ত জায়গা করে রাখবো।