পশ্চিমবঙ্গে রাজ্যপালের ‘হাতেখড়ি’

ফানাম নিউজ
  ২৭ জানুয়ারি ২০২৩, ০৬:৫৫

পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বাংলা শেখার ইচ্ছা নিজেই প্রকাশ করেছিলেন। সে অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) কলকাতার রাজভবনে তার ‘হাতেখড়ি’ অনুষ্ঠান হলো।

‘হাতেখড়ি’ অনুষ্ঠান নিয়ে সকাল থেকেই কলকাতার রাজভবনে সাজসাজ রব। পন্ডিত অজয় চক্রবর্তীর বাণী বন্দনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় এদিনের হাতেখড়ি অনুষ্ঠান। এক শিশুর হাত ধরে বর্ণমালার প্রথম অক্ষর অ, আ লিখলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। যে গুরুর কাছ থেকে বাংলার হাতেখড়ি নিলেন সে গুরুকে গুরুদক্ষিণা দিতে ভোলেননি তিনি।

অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী উপস্থিত হয়ে নিজের হাতে বর্ণপরিচয় তুলে দিলেন রাজ্যপালকে।

এদিন বাংলার সামাজিক, রাজনীতি, সংস্কৃতি ক্ষেত্রের একাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তির উপস্থিতিতেই হলো রাজ্যপালের হাতেখড়ি অনুষ্ঠান।

এ নিয়ে রাজনৈতিক মতপার্থক্য দেখা গেলেও, সেই আবহেই রাজভবনের ‘হাতেখড়ি’ অনুষ্ঠান শেষে সিভি আনন্দ বোসের মুখে শোনা গেলো ‘জয় বাংলা’ স্লোগান।

রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস জানান, আমি বাংলা শিখবো। বাংলা খুব সুন্দর এবং মিষ্টি ভাষা। আমি বাংলাকে ভালোবাসি। এছাড়াও রাজ্যপালের মুখে শোনা যায়, জয় বাংলা, জয় হিন্দ।

এরপর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালের মাতৃভাষায় (মালায়ালাম) অভিনন্দন জানান।

মমতা ব্যানার্জী বলেন, বাঙালিরা বর্ণপরিচয় হতেই বাংলা শেখা শুরু করেন। তাই বর্ণপরিচয় এর প্রথম ও দ্বিতীয় ভাগ রাজ্যপালের হাতে তুলে দেওয়া হলো।

মূলত শিশু বা নতুন শিক্ষার্থীকে লিখতে শেখানোর অনুষ্ঠানের নাম ‘হাতেখড়ি’। সাধারণত হিন্দুধর্মাবলম্বী শিশুদের সরস্বতী পূজার দিনই হাতেখড়ি দেওয়া হয়। এদিন সাধারণত পূজারি বা কোনো গুরুজনের মাধ্যমে শিশুকে হাতেখড়ি দেওয়া হয়।