শিরোনাম
বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পর এবার সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের বাড়ি থেকেও সরকারি গোপন নথি উদ্ধারের খবর পাওয়া গেলো।
গত সপ্তাহে মাইক পেন্সের ইন্ডিয়ানা বাড়িতে একজন আইনজীবী নথিগুলো আবিষ্কার করেন। পরে সেগুলো এফবিআই-এর কাছে হস্তান্তর করা হয়।
তদন্তকারীরা এরই মধ্যে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বাড়ি ও ব্যক্তিগত অফিস থেকে পাওয়া গোপন নথির বিষয়ে তদন্ত করছে।
সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কাগজপত্র অপব্যবহারের অভিযোগে একটি ফৌজদারি তদন্তেরও মুখোমুখি হয়েছেন।
জানা গেছে, মাইক পেন্সের প্রতিনিধিরা ন্যাশনাল আর্কাইভসকে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন যাতে তারা নথিগুলোর বিষয়ে সতর্ক করেন।
এফবিআই সদস্যরা সাবেক ভাইস-প্রেসিডেন্টের বাড়ি থেকে নথিগুলো সংগ্রহ করেন।
প্রেসিডেন্সিয়াল রেকর্ডস অ্যাক্টের অধীনে, প্রশাসনের মেয়াদ শেষ হলে হোয়াইট হাউজের রেকর্ডগুলো জাতীয় আর্কাইভে যাওয়ার কথা। নিয়ম অনুযায়ী এ ধরনের ফাইল নিরাপদে সংরক্ষণ করা প্রয়োজন।
জানা গেছে, পেন্স ‘অত্যধিক সতর্কতার কারণে’ শ্রেণীবদ্ধ নথি পরিচালনা করার জন্য বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে আইনি সহায়তা চাওয়ার পরে এ ঘটনা প্রকাশ পায়।
মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, নথিগুলো প্রথমে ভার্জিনিয়ায় পেন্সের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এবং পরে ইন্ডিয়ানাতে পাঠানো হয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর, ট্রাম্প পেন্সকে রক্ষায় তার ট্রুথ সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে বলেন, তিনি ‘একজন নিষ্পাপ মানুষ।’
সম্প্রতি পেন বাইডেন সেন্টার থেকে প্রথম দফায় গোপনীয় নথি উদ্ধার হয়। বাইডেন ২০১৭ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত হোয়াইট হাউজ থেকে প্রায় এক মাইল দূরে অবস্থিত পেন বাইডেন সেন্টার অপ্রশাসনিক কাজের জন্য ব্যবহার করতেন।
এসব গোপন নথি আবিষ্কারকে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের জন্য একটি রাজনৈতিক বিব্রতকর পরিস্থিতি বলে বলে অভিহিত করা হচ্ছে। কেননা সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গোপন নথি জব্দের তদন্ত পরিচালনার সময় এখন।
এর আগে, বাইডেন ট্রাম্পকে ‘সম্পূর্ণ দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বলে সমালোচনা করেছিলেন যখন এফবিআই গত আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্টের ফ্লোরিডার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ১১ সেট অতি গোপন নথি জব্দ করে।
সূত্র: বিবিসি