শিরোনাম
এস্তোনিয়ার রাষ্ট্রদূত মার্গাস লাইদ্রেকে ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে রাশিয়া ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে ক্রেমলিন। সোমবার (২৩ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গত বছর ইউক্রেনে রুশ অভিযান শুরু হওয়ার পর রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত হিসেবে যোগ দেন লাইদ্রে।
রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, সোমবার লাইদ্রেকে ডেকে নিয়ে রাশিয়া ছাড়তে বলা হয়েছে। সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে রাশিয়ার প্রতি অবন্ধুসূলভ আচরণ করেছে এস্তোনিয়া। তাছাড়া দেশটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে মস্কোর সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করছে। ফলে দেশটির রাষ্ট্রদূতকে নিজ দেশে চলে যেতে বলা হলো।
এদিকে, ক্রেমলিনের এমন সিদ্ধান্তের পর রুশ রাষ্ট্রদূতকেও একই তারিখের মধ্যে চলে যেতে বলেছে এস্তোনিয়া। লাইদ্রেকে চলে যেতে বলার আগে এস্তোনিয়া সরকার দেশটিতে অবস্থিত রুশ দূতাবাসে কর্মরত কূটনীতিকের সংখ্যা জানুয়ারি মাসের মধ্যে ১৭ জন থেকে আটজনে কমিয়ে আনার নির্দেশ দিয়েছিল।
১১ জানুয়ারি এক বিবৃতিতে এস্তোনিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, মস্কোয় অবস্থিত এস্তোনিয়া দূতাবাসের কর্মীসংখ্যার সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে তালিনের রুশ দূতাবাসের কর্মীসংখ্যা কমাতে বলা হয়েছে।
রাশিয়া যে এস্তোনিয়ার ওই আচরণের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নিতেই লাইদ্রেকে সরিয়ে দিল তা স্পষ্ট। লাইদ্রের জায়গায় এখন তার থেকে নিচু পদের কোনো কূটনীতিক রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
এর আগে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেছিলেন, এস্তোনিয়া যে রাশিয়ার শত্রু দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম, তা কোনো গোপন বিয়ষ নয়। এখন তারা তাদের রুশ দূতাবাসের কর্মী কমানোর নির্দশ দিয়েছে, যা অত্যন্ত নিন্দনীয়।
রাশিয়ার প্রতিবেশী উত্তর ইউরোপের ছোট দেশ এস্তোনিয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্য হলেও, ন্যাটোর সদস্য হতে পারেনি। তবে রাশিয়ার নাকের ডগায় থাকা দেশটির মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটটির সদস্য হওয়ার তীব্র আকাঙ্ক্ষা রয়েছে, যাতে গুরুতর আপত্তি রয়েছে মস্কোর।
গত সপ্তাহে ন্যাটোভুক্ত ১১টি দেশের প্রতিনিধিরা এস্তোনিয়ায় বৈঠকে বসেন। সেসময় তারা ইউক্রেনকে ভূখণ্ড পুনরুদ্ধার ও রাশিয়ার অগ্রগতি প্রতিরোধে সহায়তার জন্য বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন বলে জানা যায়। মূলত ওই ঘটনার পরেও রাশিয়া-এস্তানিয়ার মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
মার্গাস লাইদ্রে ২০১৮ সালে রাশিয়ান ফেডারেশনে নিযুক্ত হন। এর আগে তিনি যুক্তরাজ্য ও ফিনল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।