শিরোনাম
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবকে অভিনন্দন জানাতে আয়োজিত র্যালিতে সরকারি কর্মচারীদের উপস্থিত থাকার বিষয়টিকে ‘হাসির খোরাক’ বলে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
রোববার (১০ অক্টোবর) বিবেকানন্দ বিচার মঞ্চের উদ্যোগে রাজ্যের রাজধানী আগরতলা শহরের বাধারঘাটস্থ স্পোর্টস স্কুলের সামনে থেকে এ র্যালি বের হয়।
র্যালিতে সরকারি কর্মচারীদের উপস্থিত থাকার বিষয়ে সরকারিভাবে কোনো নোটিশ না থাকলেও দলীয়ভাবে সম্প্রতি হুলিয়া জারি করে শাসক শিবির। এ ঘটনার তীব্র সমালোচনা এসেছে তৃণমূলের দিক থেকে।
তৃণমূল কংগ্রেস বলছে, হাসির খোরাক ছাড়া এ আর তেমন কি! যেখানে সপ্তম বেতন কমিশনের কথা বলে কর্মচারীদের এর ধারেকাছেও নিয়ে যাওয়া হয়নি, সেখানে সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকেই আবার ধন্যবাদ!
রাজ্য বিধানসভার ৯ বনমালীপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিধায়ক হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। রবিবার সেই বিধানসভা কেন্দ্রেই ছাওমনু এবং গন্ডাছড়া বিধানসভা কেন্দ্র থেকে অন্তত ১০৩ পরিবারের ৩৬৬ ভোটার যোগ দেয় তৃণমূল কংগ্রেসে।
বনমালীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সুবল ভৌমিকের বাড়িতে ওই পরিবারগুলো তৃণমূল শিবিরে যোগদান করে। দলীয় পতাকা হাতে এদিন তাদের বরণ করেন তৃণমূল নেতা সুবল ভৌমিকসহ অন্যান্যরা।
পরে এ যোগদান সভা থেকে সুবল ভৌমিক বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুললে যে কর্মচারীদের হাড় ভেঙে দেওয়ার মতো আপত্তিকর মন্তব্য করতে দেখা যায়, সে দলেরই প্রভাবশালী নেতাকে ধন্যবাদ জানাতে র্যালি! এতে স্বাভাবিকভাবেই বোঝা যায়, পরিস্থিতি কোন জায়গায় ঠেকেছে।
তিনি বলেন, দীর্ঘ প্রায় চার বছরের মধ্যে তিন শতাংশ ডিএ (মহার্ঘ ভাতা) পর্যন্ত পায়নি কর্মচারীরা। বকেয়া ফেলে রাখা হয়েছে ২৫ শতাংশ ডিএ। কেন্দ্রীয় সরকারের তুলনায় বেতন বলতে গেলে প্রায় অর্ধেক। শারদোৎসব উপলক্ষে সরকারি কর্মচারীদের ২০ হাজার টাকা অ্যাডভান্স দেওয়ার কথা বলে যে সুযোগ দেখানো হয়েছে, প্রকৃতপক্ষে সরকার প্রতি মাসে ২ হাজার করে ১০ মাসে এ টাকা কর্মচারীদের কাছ থেকে কেটে নেবে।
তৃণমূল কংগ্রেস বলছে, ধারেই যদি নিতে হয় তবে এ টাকা সরকারি কর্মচারীরা যে কোনো প্রতিবেশীর কাছ থেকেই নিতে পারতো। রাজ্য সরকার এক্ষেত্রে কর্মচারীদের জন্য কীইবা দিলো? শারদোৎসবে প্রতিবছরই যেখানে বিনামূল্যে রেশনিং ব্যবস্থা থাকে, সেখানে এ বছর এধরনের কোনো উদ্যোগই নেই।
অবিলম্বে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার তাগিদ দেওয়ার পাশাপাশি পেট্রোল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়েও রাজ্য সরকারকে তুলোধুনো করেন তৃণমূল নেতা সুবল ভৌমিক।