৯৯৭ কোটি টাকার মালিক এই বিড়াল

ফানাম নিউজ
  ১৫ জানুয়ারি ২০২৩, ২৩:৩৪

ইউক্রেন যদি রাশিয়া বা বেলারুশে হামলা চালায়, তাহলে বেলারুশ এ যুদ্ধে যোগ দিতে পারে। সম্প্রতি রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাসে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আলেক্সি পোলিশচাক এ কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, কিইভ যদি সামরিক শক্তি ব্যবহার করে আগ্রাসন চালায়, তাহলে রাশিয়া ও বেলারুশে সম্মিলিতভাবে পাল্টা জবাব দেবে। বন্ধুপ্রতীম দুই দেশ ইউক্রেনীয় সেনাদের মোক্ষম জবাব দিতে যথেষ্ট।

এদিকে, বেলারুশের যুদ্ধে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে এরই মধ্যে সেনাদের সতর্ক করেছেন ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। বুধবার (১১ জানুয়ারি) তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত বেলারুশ ফাঁকা বুলি ছাড়লেও সীমান্তে আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।

জেলেনস্কি আরও বলেন, বড় বড় কথা ছাড়া বেলারুশের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য কিছু দেখা যায়নি। এরপরও আমাদের সৈন্যদের বেলারুশ সীমান্ত ও তৎসংলগ্ন এলাকাগুলোতে সতর্ক অবস্থানে থাকতে হবে।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই প্রতিবেশী দেশ বেলারুশের ভূখন্ড ব্যবহার করে ইউক্রেনে ঢোকে রুশ সেনারা। এমনকি, গত অক্টোবর থেকে বেলারুশে যৌথ সামরিক মহড়ার জন্য সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া।

ওই সময় থেকে দুই দেশ সামরিক সহযোগিতা জোরদার করতেও সম্মত হয়েছে। উত্তরের দিক থেকে ইউক্রেইনে নতুন করে হামলা চালানোর জন্য রাশিয়া তাদের ঘনিষ্ঠ মিত্রদেশ বেলারুশের ভূখন্ড ব্যবহার করতে পারে বলে শঙ্কা বাড়ছে।

এর আগে গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বেলারুশ সফরে যান। সেখানে তিনি দেশটির প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে বৈঠক করেন। তারপর থেকেই বেলারুশ সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করতে শুরু করে ইউক্রেন।

সেসময় ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ইয়েভেন ইয়েনিন বলেছিলেন, পুতিনের বেলারুশ সফরের পর আমাদের আশঙ্কা বেলারুশ সীমান্ত দিয়ে ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারে রাশিয়ান সেনারা। তাই আমরা সীমান্ত এলাকায় সেনা ও অস্ত্রের মজুত বৃদ্ধি করছি।

কিয়েভ আরও দাবি করে, ইউক্রেনে কথিত বিশেষ সামরিক অভিযানে আরও বেশি সম্পৃক্ত হতে বেলারুশকে চাপ দিচ্ছে পুতিন প্রশাসন। তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করে বেলারুশ।