আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বাইরে বিস্ফোরণের ঘটনায় ২০ জন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। বুধবার (১১ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় বিকেল ৪টার দিকে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।

ওস্তাদ ফরিদুন নামে আফগান তথ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, হামলাকারী বোমা নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রবেশের পরিকল্পনা করে ব্যর্থ হন। এটি এ বছরে কাবুলে হওয়া দ্বিতীয় বড় হামলা।

জানা যায়, যে এলাকায় বিস্ফোরণ ঘটেছে সেখানে তুরস্ক, চীনসহ কয়েকটি দেশের দূতাবাস রয়েছে।

এ ঘটনায় আফগান স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত একটি ছবিতে দেখা যায়, বিস্ফোরণে আহত কিংবা নিহতদের মধ্যে অন্তত নয়জন মন্ত্রণালয়ের বাইরের রাস্তায় পড়ে আছেন। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাদের ‍উদ্ধারে ব্যস্ত।

কাবুল পুলিশের মুখপাত্র খালিদ জাদরান বলেন, দিনের ব্যস্ত সময়ে এ ঘটনা ঘটেছে। ওই এলাকায় অবস্থিত কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা রক্ষায় বেশ কয়েকটি চেকপয়েন্ট রয়েছে। এরপরও কীভাবে এমন ভয়াবহ ঘটনা ঘটলো, তার তদন্ত শুরু হয়েছে।

ঘটনাস্থলের কাছাকাছি একটি অফিসের এক কর্মী জানান, বিকেলের দিকে হঠাৎ বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শুনতে পাই। আশপাশের সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এরপরে আমাদের ওই এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।

আফগানিস্তানের বর্তমানে তালেবান প্রশাসন মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিদ্রোহের মুখোমুখি হয়েছে। সম্প্রতি কাবুলে রুশ ও পাকিস্তানি দূতাবাসে হামলা চালিয়েছে আইএস।

জঙ্গিগোষ্ঠীটি আফগানিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাকেও হামলার লক্ষ্যবস্তু করেছে বলে জানা গেছে।

আইএসের সদস্যরা এখন দেশটিতে অবস্থানরত বিদেশি নাগরিকদের ওপর হামলা চালানো চেষ্টা করছে। রুশ এবং পাকিস্তানি দূতাবাসের পাশাপাশি তারা চীনা ব্যবসায়ীদেরও নিশানা বানাচ্ছেন।

এর আগে, গত ১ জানুয়ারি কাবুলের সামরিক বিমানবন্দরের বাইরে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতেও বেশ কয়েকজন হতাহত হন। তার আগে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে কাবুলে চীনা নাগরিকদের কাছে জনপ্রিয় একটি হোটেলে হামলা চালায় আইএস। এতে পাঁচ চীনা নাগরিক আহত হন।