শিরোনাম
কাতার বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলার দারুণ সুযোগ ছিলো পর্তুগালের সামনে; কিন্তু মরক্কোর অতিমানবীয় ফুটবলের কাছে হেরে বিদায় নিতে হয়েছিলো কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে। এরপরই কোচ ফার্নান্দো সান্তোসকে বিদায় জানিয়ে দেয় পর্তুগাল ফুটবল ফেডারেশন। সেই জায়গায় নিয়োগ দেয়া হয়েছে, বেলজিয়ামের হয়ে ব্যর্থ কোচ রবার্তো মার্টিনেজকে।
রবার্তো মার্টিনেজ পর্তুগিজদের দায়িত্ব নেয়ার পর দলটির চেহারা কী হবে, কী হবে তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা- এসব আলোচনার কেন্দ্রে চলে আসে। এমনই এক মুহূর্তে মার্টিনেজ জানিয়ে দিলেন- তার নতুন ফুটবল পরিকল্পনা হবে রোনালদোর সঙ্গে বসেই, তার সঙ্গে আলোচনা করে।
রোনালদোর নিজেওর পরিকল্পনা রয়েছে কি না সেটাও একটা বিষয়। কারণ, ৩৭ পেরিয়ে প্রায় ৩৮ এর কাছাকাছি সিআর সেভেনের বয়স। তিনি আন্তর্জাতিক ফুটবল আর চালিয়ে যাবেন কি না, কী তার পরিকল্পনা? এসবও শুনবেন মার্টিনেজ এবং সে অনুসারেই তার পরিকল্পনা সাজাবেন।
পর্তুগাল জাতীয় দলের কোচের দায়িত্ব নিয়ে প্রথম সংবাদ সম্মেলনে রোনালদোর ভবিষ্যৎ নিয়ে করা প্রশ্নের জবাবে মার্তিনেস বলেন, ‘গত বিশ্বকাপে পর্তুগাল দলে থাকা ২৬ জন ফুটবলারের সঙ্গেই আমি যোগাযোগ করতে চাই। সে তালিকায় রোনালদোও রয়েছে। আমরা বসে কথা বলতে চাই। তারপরই এই বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
পাশাপাশি তার সংযোজন, ‘বিশ্বের অন্যতম সেরা প্রতিভাবান দলকে কোচিং করানোর দায়িত্ব পেয়ে আমি গর্বিত। জানি অনেক প্রত্যাশা রয়েছে। তবে ধারেভারে পর্তুগাল বড় মাপের দল। সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করলে নিশ্চয়ই ভাল ফল হবে।’
গত বিশ্বকাপে বেলজিয়ামের কোচ ছিলেন মার্টিনেজ; কিন্তু গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেন রোমেলো লুকাকুরা। দলের খারাপ ফলের পরই কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়ান তিনি। সেই মার্টিনেজকেই নতুন কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে পর্তুগাল। হোসে মরিনহো, পাওলো ফনসেকা, রুই কস্তাসহ একাধিক কোচের সঙ্গে কথা বলেছিল তারা। শেষমেশ পর্তুগিজ ফুটবল ফেডারেশন ভরসা রেখেছে অভিজ্ঞ কোচ মার্টিনেজের ওপরই।
ছয় বছর বেলজিয়াম কোচের দায়িত্ব পালন করেন মার্টিনেজ। দলকে ২০১৮ বিশ্বকাপে তৃতীয় স্থান অর্জন করিয়েছিলেন। তবে কাতারে বেলজিয়াম খুবই খারাপ ফল করে। রোমেলু লুকাকু, কেভিন ডি ব্রুইন, ইয়ানিক কারাস্কোর মতো প্রতিভাবান ফুটবলার থাকা সত্ত্বেও কোনও সাফল্য নেই বেলজিয়ামের।
এবারের বিশ্বকাপের মাঝেই দলের মধ্যে ভাঙন দেখা দেয়। মার্টিনেজ সেসব সমস্যা ভালোভাবে সামলাতে পারেননি। কিন্তু সেই মার্টিনেজের ওপরই ভরসা দেখিয়েছে রোনালদোর দেশ।