শিরোনাম
যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্ত পরিদর্শন করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ২০২২ সালে ক্ষমতায় আসার পর এবারই প্রথম এ সীমান্ত পরিদর্শন করলেন তিনি।
রোববার (৮ জানুয়ারি) উত্তর আমেরিকান নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে মেক্সিকোর রাজধানী মেক্সিকো সিটির উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এর এক ফাঁকে তিনি টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের এল পাসো সিটিতে যাত্রাবিরতী নেন ও সীমান্ত পরিদর্শনে যান।
এল পাসো শহরটি মেক্সিকো সীমান্তে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম শহরগুলোর মধ্যে একটি ও মেক্সিকোর সিউদাদ জুয়ারেজের সঙ্গে সংযুক্ত। এ শহর দিয়েই প্রতিদিন হাজার হাজার অভিবাসী যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেন।
জানা যায়, জো বাইডেনের মেক্সিকো সফরের মূল উদ্দেশ্য হলো মেক্সিকো সীমান্ত ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রে বিপুলসংখ্যক অনুপ্রেবেশ বন্ধে কার্যকরী ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। সোমবার (৯ জানুয়ারি) মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাডরের সঙ্গেও দেখা করবেন তিনি।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই অভিবাসন নীতি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ডেমোক্রেটিক এ নেতা। অভিবাসনের বিরোধিতা করে আসা রিপাবলিকান দলের নেতারা ও বামপন্থী ডেমোক্র্যাট নেতাদের পক্ষ থেকে ক্রমাগত চাপের মুখোমুখি হচ্ছেন তিনি।
রিপাবলিকান নেতারা দাবি করছেন, বাইডেন প্রশাসন খুব নমনীয় ও তরা অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে। অন্যদিকে, দেশটির মানবাধিকার কর্মীদের দাবি, সরকারের নতুন ঘোষিত পদক্ষেপের ফলে আশ্রয়প্রার্থীদের জীবন ঝুঁকিতে পড়বে।
টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে সাংবাদিকদের প্রশ্নে বাইডেন বলেন, মেক্সিকো-যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তে কী ঘটছে, তা আমি নিজ চোখে দেখতে চাই। তাছাড়া, আমরা অভিবাসন প্রত্যাশীদের জন্য বৈধ প্রক্রিয়া প্রণয়ন করতে যাচ্ছি।
এদিকে, বর্তমান অভিবাসন নীতিকে গভীর রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টির মূল কারণ হিসেবে দাবি করে জো বাইডেনকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের রিপাবলিকান গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট। সেখানে বলা হয়, কেন্দ্রীয় আইন প্রয়োগে প্রেসিডেন্টের ব্যর্থতার প্রত্যক্ষ ফলাফল হলো সীমান্তে সৃষ্ট বিশৃঙ্খলা।
এ সফরের আগে জো বাইডেন বলেছিলেন, তার নতুন পরিকল্পনার অধীনে টাইটেল ৪২ নামক আইনটিকে আরও সম্প্রসারিত করা হবে, যাতে সীমান্তরক্ষীরা স্থলপথে আসা বিপুলসংখ্যক অভিবাসীদের তাৎক্ষণিকভাবে ফিরিয়ে দিতে পারেন।
অন্যদিকে, নিজের বামপন্থী সমর্থকদের থেকে আসা চাপ ঠেকাতে বাইডেন ঘোষণা দেন, প্রতি মাসে কিউবা, হাইতি, নিকারাগুয়া ও ভেনিজুয়েলা থেকে ৩০ হাজার অভিবাসী নেবে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এর জন্য প্রথমে অভিবাসন প্রত্যাশীদের নিজ দেশ থেকে আবেদন করতে হবে, অবশ্যই মার্কিন স্পন্সর থাকতে হবে ও সবার জীবনবৃত্তান্ত খুঁটিয়ে দেখার পর বৈধ অভিবাসী হিসেবে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে।