শিরোনাম
রাজনৈতিক অস্থিরতায় জর্জরিত মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরাকে সাধারণ নির্বাচনে ভোট দিচ্ছে জনগণ। রোববার স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।
এবারের নির্বাচনে পার্লামেন্টের ৩২৯টি আসনের জন্য অন্তত ১৬৭টি দল ও তিন হাজার ২০০-র বেশি প্রার্থী লড়ছে বলে জানিয়েছে ইরাকের নির্বাচন কমিশন।
এবারের ভোটের ফল ইরাক বা মধ্যপ্রাচ্যে ক্ষমতার ভারসাম্যে নাটকীয় কোনো পরিবর্তন আনবে না বলে মনে করছেন ইরাকি কর্মকর্তা, বিদেশি কূটনীতক ও বিশ্লেষকরাও; তবে তারপরও আশাবাদী অনেক ইরাকি।
২০০৩ সালের পর দেশটিতে হতে যাওয়া পঞ্চম সংসদীয় ভোট নিয়ে তাদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহও দেখা গেছে।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। চেকপোস্টগুলোতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। নির্বাচনের কারণে ইরাক নিজেদের স্থল সীমান্ত ও আকাশপথ সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে। শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত বিমান পরিষেবা বন্ধ থাকবে।
দেশটিতে গত কয়েক দশক ধরেই নির্বাচনের পর প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভা ঠিক করতে বিভিন্ন দলের মধ্যে মাসের পর মাস আলোচনা, দরকষাকষি হয়ে আসছে।
ইরাকের ওপর প্রভাব বিস্তারে দুটি পক্ষ সক্রিয়। এক পক্ষে আছে যুক্তরাষ্ট্র, উপসাগরীয় আরব দেশগুলো এবং ইসরায়েল। অন্যপক্ষে ইরান। সিরিয়া ও লেবাননে সক্রিয় ছায়া মিলিশিয়া বাহিনীগুলোকে তেহরান ইরাকের ভেতর দিয়েই সহায়তা পাঠিয়ে আসছে।