শিরোনাম
বৈশ্বিক অর্থনীতির জন্য ২০২২ সালের চেয়ে ২০২৩ সাল কঠিনতর হবে বলে মন্তব্য করেছেন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা। এ বছর বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ অর্থনীতি মন্দার মুখে পড়তে পারে বলেও সতর্ক করেছেন তিনি।
কেন? আইএমএফ প্রধানের ভাষ্যমতে, ‘যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, চীন- সব অর্থনীতি একসঙ্গে ধীর হয়ে যাচ্ছে।’ গত রোববার (১ জানুয়ারি) সিবিএস চ্যানেলের ‘ফেস দ্য নেশন’ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এই সতর্কবার্তা দিয়েছেন তিনি।
এর আগে, গত অক্টোবর মাসের পূর্বাভাসে ২০২৩ সালে বৈশ্বিক অর্থনীতির সম্ভাব্য প্রবৃদ্ধির হার ২ দশমিক ৯ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ দশমিক ৭ শতাংশ করেছিল আইএমএফ। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব এবং দেশে দেশে সুদের হার বৃদ্ধির জেরে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ার আশঙ্কা করছে আন্তর্জাতিক সংস্থাটি।
রোববারের অনুষ্ঠানে চীন প্রসঙ্গে আইএমএফ প্রধান বলেছেন, ২০২৩ সালে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি গত ৪০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির হারের তুলনায় ধীরে বাড়তে চলেছে।
তিনি বলেন, এমনটি আগে কখনো দেখা যায়নি। আমি গত সপ্তাহে চীনের একটি শহরে ছিলাম, যেখানে ‘জিরো কোভিড’ রয়েছে। তবে চীনারা একবার ভ্রমণ শুরু করলে তা (করোনা নীতি) স্থায়ী হবে না।
জর্জিয়েভা ক্রিস্টালিনা জানান, তিনি বছরের শেষের দিকে চীনা প্রবৃদ্ধি উন্নত হবে বলে আশা করছেন। তবে এর দীর্ঘমেয়াদী গতিপথ নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। তিনি বলেন, করোনার আগে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির ৩৪, ৩৫, ৪০ শতাংশ দিতো চীন। এখন আর সেটি হচ্ছে না। এটি আসলে এশীয় অর্থনীতিগুলোর জন্য বেশ চাপের বিষয়।
শুধু চীন নয়, নতুন বছরে চাপে থাকবে ইউরোপের অর্থনীতিও। বিশেষ করে, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে। এ বছর ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্ধেকের বেশি সদস্য অর্থনৈতিক মন্দায় পড়তে পারে বলে সতর্ক করেছেন আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি শক্তিশালীই থাকবে এবং কোনোভাবে সংকুচিত হওয়াও এড়াতে পারে বলে জানিয়েছেন জর্জিয়েভা। তিনি বলেন, আমরা দেখছি, যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমবাজার বেশ শক্তিশালী। এটি অবশ্য একটি মিশ্র আশীর্বাদ। কারণ শ্রমবাজার যদি খুব শক্তিশালী হয়, তাহলে মূল্যস্ফীতি কমাতে ফেডারেল ব্যাংককে সুদের হার আরও বেশি দিন চড়া রাখতে হতে পারে।