দেশে দেশে জমকালো আয়োজনে বর্ষবরণ

ফানাম নিউজ
  ০১ জানুয়ারি ২০২৩, ০৭:৫৭

প্রতিটি নতুন বছর নতুন বার্তা নিয়ে আসে। তারপরও এক বছরকে বিদায় ও আরেক বছরকে বরণ করে নেয়ার মধ্যে বিশেষ কিছু তো আছেই। এবারের ইংরেজি বর্ষবরণ নতুন কিছুরই বার্তা দিয়ে শুরু হলো। করোনার আঘাত আর ইউক্রেন যুদ্ধ সব মিলিয়ে অসহিঞ্চু এক পরিবেশ ছিল ২০২২ সালে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ২০২২-কে বর্ণিল উৎসবের মাধ্যমে ইতিমধ্যে বিদায় জানিয়েছে, স্বাগত জানিয়েছে নতুন বছর ২০২৩-কে। সবার আগে ২০২৩ সাল শুরু হয়েছে মধ্য-প্রশান্ত মহাসাগরের দেশ কিরীটিমতিতে।

এরপর অঞ্চলটির অন্য দেশগুলো একে একে নতুন বছরে প্রবেশ করে।

প্রতি বছরের মতো এবারও ব্যাপক জাঁকজমকভাবে ২০২২ সালকে বিদায় ও ২০২৩ সালকে বরণ করে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। দেশটির হারবার ব্রিজ, অপেরা হাউসে যথারীতি দৃষ্টিনন্দন আতশবাজির আয়োজন করা হয়েছে। হারবার ব্রিজ এলাকায় বর্ণিল আলোকসজ্জায় পরিকল্পিতভাবে অনেকগুলো ছোট ছোট তরী ঘুরে বেড়িয়েছে।

সিডনির পাশাপাশি মেলবোর্ন, ক্যানবেরা এবং ব্রিসবেনেও আলোকসজ্জার কোনো কমতি ছিল না। এসব উৎসব দেখতে সন্ধ্যার পর থেকেই এসব এলাকায় ভীড় জমিয়েছেন নানান বয়সি হাজার হাজার মানুষ। লন্ডনের টেমস নদী এলাকায় এক লাখ মানুষ থার্টিফাস্ট নাইট অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারবেন বলে উল্লেক করা হয়েছে বিবিসির এক প্রতিবেদনে।

তাছাড়া দেশটির উল্লেখযোগ্য সব শহরেই নববর্ষের অনুষ্ঠান থাকছে। বিখ্যাত বিগ বেনের শব্দে শব্দে নববর্ষ উৎসবে মেতে উঠবেন যুক্তরাজ্যেবাসী।

প্যারিস, বার্লিন, রোমসহ ইউরোপের সব রাজধানী শহর থার্টিফাস্ট উদযাপনের জন্য প্রস্তুত হয়ে আছে।

যুদ্ধের কারণে আন্তর্জাতিক চাপে থাকা মস্কোতেও পুরোদমে বর্ষবরণ উদযাপিত হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। আফ্রিকা, লাতিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশেও থাকছে বর্ষবরণের বিভিন্ন কর্মসূচি।

এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বেইজিংসহ চীনের বিভিন্ন প্রদেশ, ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি, জাপানের টোকিওতেও সরকারিভাবে পালিত হবে নববর্ষের উৎসব। থাকবে নাচ, গান এবং আতশবাজি। বর্তমান বিশ্বের রাজধানী যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের টাইমস স্কয়ারেও থার্টিফাস্টের সব প্রস্তুত শেষ বলে জানা গেছে।

চলতি বছর করোনা বিধিনিষেধ না থাকায় এবার টাইমস স্কয়ারে গত দুবছরের চেয়ে বেশি মানুষের সমাগম হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।