শিরোনাম
শীতকাল মানেই পাটালি গুড়, কমলা লেবু, সার্কাস আর অবশ্যই পিকনিক। এই পিকনিকে কেউ পুরোনো পছন্দের জায়গায় কেউ আবার নতুন নতুন জায়গার সন্ধানে বেরিয়ে পড়েন। কারো পছন্দ পাহাড়, কারো পছন্দ সমুদ্র, কেউ আবার লেকের ধারেই পরিবার-পরিজন নিয়ে পিকনিক করতে ভালোবাসেন।
২৫ ডিসেম্বর বড়দিন পেরোলেও পশ্চিমবঙ্গে উৎসবের আমেজ এখনো কাটেনি। তার ওপর সামনেই নতুন বছর। তাছাড়া কথায় আছে বাঙালির ১২ মাসে ১৩ পার্বণ। বাঙালি সব সময় উৎসব মুখর থাকতে পছন্দ করে।
ইংরেজি নতুন বছরের প্রথম দিন বা অন্যান্য ছুটির দিনগুলোতে পিকনিক করার হিড়িক পরে যায়। ফলে শীত থাকতে থাকতেই নতুন করে পিকনিকের উৎসবে মেতে উঠেছে আট থেকে আশি প্রত্যেকেই।
কলকাতা শহর থেকে একটু দূরে হলেও পরিবারের সবাইকে নিয়ে একটু নিরিবিলিতে পিকনিক (বনভোজন) করার মনোরম পরিবেশ পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কল্যাণীর লেক পার্ক।
সুবিশাল জলাধার বেষ্টিত এই কল্যাণী লেক পার্ক সুন্দর সময় কাটানো বা পিকনিক করার আদর্শ জায়গা।
নদীয়া জেলার কল্যাণীর লেক পার্কে রয়েছে জলাশয়ে বোটিং করার সুব্যবস্থা, বিভিন্ন রাইডিং, এছাড়া ছোট বড় সবার জন্য ইনডোর গেমের ব্যবস্থা।
সাজানো গোছানো এই পার্কে রয়েছে সারিবদ্ধ ফুলের বাগান। শিশুদের জন্য দোলনা ছাড়াও রয়েছে আরও অনেক কিছু। এই পার্ক ঘুরে দেখার জন্য ট্রয় ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে কর্তৃপক্ষ।
এছাড়াও এই লেক পার্কে আছে সুন্দর স্থাপত্য ও বিভিন্ন ভেষজ গাছ। বিদেশি পর্যটকরা এসে পিকনিক করতে চাইলে তাদের জন্য আলাদা করে শেডের ব্যবস্থাও করা আছে এই পার্কে। শীত পড়লেই পিকনিক (বনভোজন) করার জন্য তিল ধরার জায়গা থাকে না এই কল্যাণীর লেক পার্কে। অনেকে আবার নিজের প্রিয় মানুষের সঙ্গে একান্তে বসে সময় কাটাতে আসেন সবুজে ঘেরা মনোরম পরিবেশে।
কল্যাণী লেক পার্কে হাওড়া জেলা থেকে পিকনিক (বনভোজন) করতে আসা দীপক প্রামানিক জানান, প্রথমবার আসলেও অদ্ভুত মনোরম পরিবেশ খুব ভালো লাগছে। আমরা ৬০ জনের একটি দল পিকনিক করতে এসেছি। নদীর তীরে শীতকালের পিকনিক এক অপূর্ব অভিজ্ঞতা।
উত্তর ২৪ পরগনার জেলার মধ্যগ্রাম থেকে কল্যাণী লেক পার্কে শিক্ষার্থীদের একটি দল ঘুরতে এসেছে। তারা জানান, এখানে পিকনিক করতে এসে আমাদের ভালো লাগছে ও এই লেকটা খুবই সুন্দর।
শিয়ালদহ থেকে কল্যাণী সীমান্ত লোকাল, শান্তিপুর লোকাল, গেদে লোকাল, কৃষ্ণনগর লোকাল, রানাঘাট লোকাল ট্রেনে করে কল্যাণী নামতে হবে। এরপর ইজি বাইক যাওয়া যাবে কল্যাণী লেক পার্ক।