শিরোনাম
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য তিন সপ্তাহের মধ্যে বেড়ে সর্বোচ্চ হয়েছে। কারণ একদিকে চীনে করোনার বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে। এতে আশা করা হচ্ছে, দেশটিতে চাহিদা পুনরুদ্ধার হবে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রে বইছে শীতকালীন তুষাড়ঝড়। এমন পরিস্থিতিতে সেখানে উৎপাদনে প্রভাব পড়েছে। খবর রয়টার্সের।
চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে, ৮ জানুয়ারি থেকে বিদেশি ভ্রমণকারীদের ওপর থেকে কোয়ারেন্টাইনেরে বিধিনিষেধ উঠিয়ে দেওয়া হবে। মূলত ২০২০ সালের পর থেকেই চীনে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। তাই এই পদক্ষেটি চীনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেলের দিকে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ৯৫ সেন্ট বা এক দশমিক এক শতাংশ বেড়ে ৮৪ দশমিক ৯৭ ডলারে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের মূল্য ৭১ সেন্ট বা শূন্য দশমিক শূন্য নয় শতাংশ বেড়ে ৮০ দশমিক ২৭ ডলারে দাঁড়িয়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে, ৫ ডিসেম্বরের পর দুই বেঞ্চমার্কের মূল্যই বেড়ে সর্বোচ্চ হয়েছে।
অভ্যাট্রেডের বিশ্লেষক নাইম আসলাম চীনের করোনা নিয়মের ব্যাপারে বলেন, ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীরা নিশ্চিতভাবেই আশাবাদী হবে।
ফুজিটোমি সিকিউরিটিজের প্রধান বিশ্লেষক কাজুহিকো সাইতো বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে শীতকালীন ঝড়ের কারণে সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার উদ্বেগ থেকেও তেলের দাম কিছুটা বেড়েছে।
তিনি বলেন, যদিও চলতি সপ্তাহেই যুক্তরাষ্ট্রের আবহাওয়া ভালো হবে বলে পূর্বাভাস রয়েছে। তাই তেলের দামের উর্ধ্বমুখিতা বেশি দিন নাও থাকতে পারে।
এদিকে জ্বালানি তেলের উৎপাদন কমানোর হুমকি দিয়েছে রাশিয়া। শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) রাশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার নোভাক বলেছেন, ২০২৩ সালের শুরু দিকে তেলের উৎপাদন পাঁচ থেকে সাত শতাংশ কমানো হতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে, রাশিয়ার এমন পদক্ষেপে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম আরও বেড়ে যেতে পারে।
আলেকজান্ডার নোাভাক জানিয়েছেন, দৈনিক তেলের উৎপাদন কমানো হতে পারে পাঁচ থেকে সাত লাখ ব্যারেল।
তিনি বলেন, রাশিয়ার তেলের ওপর ইউরোপের নির্ভরশীলতা কামানো সত্ত্বেও বিশ্বজুড়ে রাশিয়ার তেলের চাহিদা বেড়েছে। তাছাড়া ক্রেতাদের ক্ষেত্রে বৈচিত্র আনছে মস্কো।