শিরোনাম
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেন, নিরাপত্তাজনিত বিভিন্ন বিষয়ে ইউরোপের দেশগুলো অনেকাংশেই যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরশীল। এখন ইউরোপের উচিত, এ নির্ভরশীলতা কমিয়ে আনা।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ জর্ডানের রাজধানী আম্মানে আয়োজিত বাগদাদ শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেন ম্যাক্রোঁ। সেখান থেকে দেশে ফেরার আগে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এমন মন্তব্য করেন তিনি।
তার মতে, নিজেদের নিরাপত্তা রক্ষায় ইউরোপকে স্বনির্ভর হতে হবে। এমনকি ন্যাটোর ওপর ইউরোপের সদস্য দেশগুলোর নিয়ন্ত্রণ বাড়ানোর প্রতিও গুরুত্বারোপ করেন ম্যাক্রোঁ।
ম্যাক্রোঁ আরও বলেন, ইউরোপকে প্রযুক্তি ও প্রতিরক্ষাখাতের সক্ষমতায় স্বনির্ভরতা অর্জন করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের ওপর থেকেও নির্ভরতা কমাতে হবে।
তার দাবি, ইউরোপ যদি স্বনির্ভর ও শক্তিশালী হয়, তাহলে ন্যাটোর মধ্যে থেকেও ইউরোপ আরও স্বায়ত্ত্বশাসিত হতে পারবে।
তিনি বলেন, ন্যাটোর ভেতর, ন্যাটোর সঙ্গে থাকবো; কিন্তু ন্যাটোর ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়বো না। ইউরোপের সব দেশের উচিত এমন একটি দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করা।
ম্যাক্রোঁ আরও বলেন, সামরিক জোট এমন কোনো বিষয় নয়, যার ওপর আমার পুরোপুরি নির্ভর করতে হবে। এটি একটি উত্তম অপশন ও একত্রে কাজ করার অঙ্গীকার মাত্র। তবে, আমাদের অবশ্যই কৌশলগত স্বার্থ ও স্বনির্ভরতার বিষয়টি দেখতে হবে।
এদিকে ম্যাক্রোঁ এমন সময় এসব কথা বললেন, যখন রুশ হামলায় বিধ্ব্স্ত ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি যুক্তরাষ্ট্র সফরে গেছেন ও প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
এর আগে সফলভাবে বিশ্বকাপ আয়োজন করায় কাতারকে অভিনন্দন জানান ম্যাক্রোঁ। তাছাড়া, জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৭ আয়োজনের জন্য মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল সিসিরও প্রশংসা করেন।
সদ্য সমাপ্ত বিশ্বকাপ ফুটবলের সেমিফাইনাল ও ফাইনাল ম্যাচ দেখার জন্য কাতারে গিয়েছিলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট। যদিও ফাইনালে আর্জেন্টিনার কাছে টাইব্রেকারে পরাজিত হয় লে ব্লুজরা। কিন্তু বিশ্বকাপের সফল আয়োজন করায় কাতারের প্রশংসা করতে ভোলেননি তিনি।