শিরোনাম
প্রথমবারের মতো জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ‘মিয়ানমার পরিস্থিতি’ নিয়ে প্রস্তাব পাস হয়েছে। এতে রোহিঙ্গা সংকট ও এর টেকসই সমাধানের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি নিরাপত্তা পরিষদে ১২ ভোটে প্রস্তাবটি পাশ হয়। কোনো সদস্যই প্রস্তাবে ভেটো কিংবা এর বিরুদ্ধে ভোট দেয়নি। তবে চীন, রাশিয়া ও ভারত ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকে।
প্রস্তাবে মিয়ানমারের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহের ক্রমাবনতি ও রাজনৈতিক নেতাদের নির্বিচারে আটকের কথা উল্লেখ করে সহিংসতা বন্ধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক সংলাপের আহ্বান জানানো হয়েছে।
রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধসহ নানামুখী বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের প্রেক্ষিতে এই প্রস্তাব মিয়ানমারের চলমান সংকট নিরসনে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ সংস্থার দৃঢ়তারই প্রদর্শন।
ধারণা করা হচ্ছে, এই প্রস্তাব রোহিঙ্গা সংকট ইস্যুতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের মনোযোগ পুনরায় আকৃষ্ট করবে।
বাংলাদেশে ২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের ঢল নামার পর থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে বাংলাদেশের অবস্থান স্পষ্ট করে বলেছেন, এদেশের অস্থায়ী আশ্রয় থেকে এসব রোহিঙ্গাকে অবশ্যই নিজ দেশে ফিরে যেতে হবে।
মানবিক বিবেচনায় বাংলাদেশ বর্তমানে ১২ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে। প্রস্তাবে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় ও তাদের মানবিক সহায়তা দেওয়ায় বাংলাদেশের প্রচেষ্টার প্রশংসা করা হয়েছে।
তাছাড়া প্রস্তাবে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদে, মর্যাদাপূর্ণ ও স্থায়ীভাবে ফিরে যাওয়া ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা বিষয়ে মিয়ানমারের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রভাবের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
রাখাইন রাজ্যের সংকটের মূল কারণসমূহ চিহ্নিত ও রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদে, মর্যাদাপূর্ণ ও স্থায়ীভাবে ফিরে যাওয়ার প্রয়োজনীয় শর্তসমূহ তৈরির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে প্রস্তাবটিতে।
এদিকে দ্রুত পদক্ষেপ হিসেবে প্রস্তাবে আসিয়ানের পাঁচ দফা ঐকমত্য বাস্তবায়নে জাতিসংঘের সম্ভাব্য সমর্থন বিষয়ে নিরাপত্তা পরিষদে ২০২৩ সালের ১৫ মার্চের মধ্যে একটি রিপোর্ট দিতে জাতিসংঘ মহাসচিব ও মিয়ানমারে তার বিশেষ দূতকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।