শিরোনাম
যৌথ নৌ-মহড়া চালানো ঘোষণা দিয়েছে চীন-রাশিয়া। বুধবার (২১ ডিসেম্বর) থেকে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত পূর্ব চীন সাগরে এ মহড়া চলবে। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানায় ব্রিটিশ সংবাদসংস্থা রয়টার্স।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, ২০১২ সাল থেকে প্রতি বছর এ যৌথ নৌ-মহড়া হয়ে আসছে। এবার পূর্ব চীন সাগরে ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলাবর্ষণ করা হবে।
তাদের দাবি, এ মহড়ার মূল উদ্দেশ্য হলো চীন-রাশিয়ার মধ্যে নৌ-সহযোগিতা জোরদার করা ও এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা।
ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করার পর থেকে মস্কো বেইজিংয়ের সঙ্গে রাজনৈতিক, নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বাড়ানোর চেষ্টা করেছে। এমন পরিস্থিতিতে পশ্চিমারা চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংকে পশ্চিমাবিরোধী জোটের মূল সহযোগী হিসেবে বিবেচনা করছে।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, ভারিয়াগ ক্ষেপণাস্ত্র ক্রুজার, মার্শাল শাপোশনিকভ ডেস্ট্রয়ার ও রাশিয়ার প্রশান্ত মহাসাগরীয় নৌবহরের দুটি কর্ভেট এ মহড়ায় অংশ নেবে।
চীনের তরফ থেকে চারটি সারফেস ওয়ারশিপ ও একটি সাবমেরিন মহড়ায় অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। এছাড়া উভয় দেশের এয়ারক্রাফটগুলোও মহড়ায় নেবে।
এমন সময়ে এ নৌ-মহড়ার ঘোষণা এলো, যার কয়েকদিন আগেই রাশিয়ার শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
ইউক্রেনের বেসামরিক অবকাঠামো লক্ষ্য করে শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) বৃষ্টির মতো ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে রুশ বাহিনী। ওই দিনই সামরিক বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে মিলিত হন পুতিন।