শিরোনাম
নিজের বিরুদ্ধে লেখালেখির কারণে সম্প্রতি কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মীর টুইটার অ্যাকাউন্ট সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটির সিইও ও বিশ্বের সদ্য সাবেক শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক। এর জেরে উদ্বেগ প্রকাশ করে ইলনের ওপর নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়েছে ইউরোপ মহাদেশভুক্ত দেশগুলোর জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
এদিকে, যদি ইলনের ওপর আসলেই এ নিষেধাজ্ঞা জারি হয়, তাহলে ইউরোপের পুরো একটি বাজার হারাবে টুইটার।
ইইউ কমিশনার ভেরা জৌরোভা জানান, মাস্ক যদি টুইটারে তার স্বেচ্ছাচারিতা অব্যাহত রাখেন, তাহলে ইইউয়ের সংবাদপত্রের স্বাধীনতা সংক্রান্ত আইনের আওতায় তার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে বাধ্য হবো আমরা।
একইদিনে এক টুইটে ইইউ কমিশনার লেখেন বলেন, টুইটারে সাম্প্রতিক গণছাঁটাই ও কোনো রকম আগাম পূর্বাভাস ছাড়াই কয়েকজন সাংবাদিকের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়ার ঘটনায় আমরা উদ্বেগ বোধ করছি।
তিনি লেখেন, ইইউয়ের ডিজিটাল সার্ভিস আইনে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও সংবাদকর্মীদের মৌলিক অধিকারকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এমনকি, ইইউয়ের সংবাদপত্রের স্বাধীনতা আইনেও এ দুটি বিষয়কে গুরুত্বর সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে।
‘ইলন মাস্ক এরই মধ্যে সব ধরনের সীমা অতিক্রম করে ফেলেছেন, এখন তার সামনে শুধু নিষেধাজ্ঞা অপেক্ষা করছে। ইইউ মনে করে, এখন থেকেই যদি ইলন সচেতন না হন তাহলে ইইউ তার ওপর নিষধাজ্ঞা আরোপ করতে বাধ্য হবে।’
টুইটার থেকে বরখাস্ত হওয়া সাংবাদিকদের মধ্যে নিউ ইয়র্ক টাইমস, দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট, সিএনএন, দ্য ইন্টারসেপ্ট ও ভয়েস অব আমেরিকার সাংবাদিকরা রয়েছেন৷
এদিকে, আর টুইটারের কাছে সরাসরি এ ব্যাপারে ব্যাখ্যা চেয়েছে সিএনএন৷ সংবাদমাধ্যমটি জানায়, টুইটার কিংবা ইলন মাস্ক এখনো আমাদের প্রশ্নের কোনো জবাব দেয়নি। তাদের জবাবের ওপর ভিত্তি করে ঠিক করা হবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটির সঙ্গে আমাদের কী ধরনের সম্পর্ক থাকবে।
সিএনএন দাবি করে, অ্যাকাউন্ট স্থগিত হওয়ার কিছুক্ষণ আগে টুইটার নিয়ে একটি প্রতিবেদন করেছিলেন তাদের সাংবাদিক ডনি ও’ সুলিভান। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, টুইটার মাস্তোডন নামে একটি প্রতিদ্বন্দ্বী সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাকাউন্ট স্থগিত করেছে।
মাস্তোডন ইলন মাস্কের প্লেনের ওপর নজরদারী করা অ্যাকাউন্ট ‘ইলন জেট’- নিয়ে পোস্টের অনুমতি দিয়েছিল বলেও উল্লেখ করা হয় তাতে। অ্যাকাউন্ট স্থগিত হওয়া অন্য সাংবাদিকরাও সম্প্রতি বিতর্কিত অ্যাকাউন্টটি নিয়ে লেখালেখি করেছিলেন।
এদিকে, এভাবে সাংবাদিকদের টুইটার অ্যাকাউন্ট স্থগিত করাকে ‘সন্দেহজনক ও দুর্ভাগ্যজনক’ বলে দাবি করেছেন নিউইয়র্ক টাইমসের এক মুখপাত্র৷
নানা নাটকীয়তার পর এ বছরের ২৮ অক্টোবর টুইটারের মালিকানা কিনে নেন ইলন মাস্ক। সে সময় এ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফরমটির কর্মীসংখ্যা ছিল ৭ হাজার ৫০০ জন। কিন্তু মালিকানা পাওয়ার পর এক সপ্তাহের মধ্যে টুইটারের ৫০ শতাংশ কর্মীকে ছাঁটাই করেন তিনি।
সূত্র : সিএনবিসি