শিরোনাম
ভারতের মেঘালয় রাজ্যে সফরে গেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে তিনি অসংখ্য প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন।
এদিন কংগ্রেসকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেছেন, এতদিন কেন্দ্রের ক্ষমতায় থাকা দলগুলো মনে করতো দেশের উত্তরপূর্বে উন্নয়ন করলে শত্রুরাই লাভবান হবে। আর এই ভাবনাচিন্তার কারণেই সীমান্ত সংলগ্ন রাজ্যগুলোতে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন সেভাবে হয়নি।
মমতা ব্যানার্জীর সফরের পাঁচদিনের মধ্যেই মেঘালয়ে গেছেন তিনি। আগামী বছরের শুরুতে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের দুই রাজ্য মেঘালয় ও ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচি নিয়ে রোববার সফরে মোদী। সব মিলিয়ে ৬ হাজার ৮০০ কোটি রুপির একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন।
প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে ৪জি টেলিকম টাওয়ার, শিলং ও আগরতলার যানজট নিরসনে রাস্তা প্রকল্প, মাশরুম ও মৌমাছি পালন উন্নয়ন কেন্দ্র, হিন্দি লাইব্রেরিসহ অন্যান্য প্রকল্প। এর মধ্যে মেঘালয়ে ২ হাজার ৪৫০ কোটি ও ত্রিপুরায় ৪ হাজার ৩৫০ কোটি রুপির প্রকল্প।
আর এই সফরে এসেই এমন কথা বলতে শোনা গেলো তাকে। সেই সঙ্গে তার সরকার যে এই রাজ্যগুলোর উন্নয়নের জন্য নানা প্রকল্পের সূচনা করেছে সেই দাবিও করলেন মোদী।
মোদী বলেন, সীমান্তবর্তী এলাকায় সড়ক, টানেল, সেতু, রেললাইন নির্মাণের কাজে গতি এসেছে। যে সব সীমান্ত সংলগ্ন গ্রামগুলো এতদিন নির্জন হয়েছিল, সেগুলি বদলে গিয়েছে।
সম্প্রতি আসাম ও মেঘালয়ের সীমানা সংলগ্ন এলাকাতেও আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটার অভিযোগ উঠেছিল। সংঘর্ষে ৬ জনের মৃত্যুর কথাও জানা যায়। সব মিলিয়ে ৮৮৪ কিমি অঞ্চলজুড়ে বিস্তৃত ১২টি এলাকা ঘিরে সীমানা সংক্রান্ত সমস্যা রয়েছে। এদিন সেই প্রসঙ্গে মোদীর আশ্বাস, এই ধরনের সীমানা বিবাদ আর থাকবে না। তার পরিবর্তে উত্তরপূর্বে উন্নয়নের জোয়ার বইবে।
কয়েক দিন আগে মেঘালয়ে গিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জী। উদ্বোধন করেছেন ‘উই কার্ড’। বাংলার ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের’ আদলে এই কার্ড থাকলে অ্যাকাউন্টে মাসে মাসে হাজার টাকা জমা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। সাড়াও মিলছে ভালো। উপলক্ষ যদিও উত্তর-পূর্ব পরিষদের সূবর্ণ জয়ন্তী, তবুও মমতার সফরের পাঁচ দিনের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর মেঘালয়ে ছুটে আসা তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
জানা গেছে, বিজেপি ত্রিপুরায় ফের ক্ষমতায় আসার পাশাপাশি মেঘালয়ে নিজেদের জোরে মসনদ দখলের পরিকল্পনা করেছে। কারণ, জোট না করে একাই লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শরিক এনপিপি। কিন্তু বিজেপির সেই স্বপ্ন তৃণমূল ব্যর্থ করে দিতে পারে বলে মনে করছে অনেকে।