শিরোনাম
নিজের মূল ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান টেসলার আরও ৩৬০ কোটি মার্কিন ডলারের শেয়ার বিক্রি করে দিলেন ইলন মাস্ক। এ নিয়ে চলতি বছর প্রায় চার হাজার কোটি ডলারের শেয়ার বিক্রি করলেন তিনি। এর আগে টুইটার কেনার কয়েকদিন পরেই টেসলা থেকে ৪০০ কোটি ডলারের শেয়ার বিক্রি করেছিলেন এ মার্কিন ধনকুবের। খবর রয়টার্সের।
মাস্কের এ ধরনের কার্যকলাপের মধ্যে সম্প্রতি বৈদ্যুতিক গাড়িনির্মাতা টেসলার শেয়ারের দর কমে দুই বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে। এতে হতাশ বিনিয়োগকারীরা।
যুক্তরাষ্ট্রের সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) ফাইলিংয়ে দেখা গেছে, গত সোমবার (১২ ডিসেম্বর) থেকে বুধবার পর্যন্ত তিন দিনের মধ্যে টেসলার ২ কোটি ২০ লাখ শেয়ার বিক্রি করেছেন ইলন মাস্ক।
গত অক্টোবর মাসে ৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলারে সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্ট টুইটার কেনার পর টেসলা থেকে এটি তার দ্বিতীয় বৃহত্তম শেয়ার বিক্রির ঘটনা। এর সঙ্গে টুইটার অধিগ্রহণের কোনো সম্পর্ক রয়েছে কি না তা পরিষ্কার নয়।
তবে ইলন মাস্কের ব্যবসায়িক মূলদৃষ্টি টেসলা থেকে টুইটারের দিকে সরে যাওয়ার আভাস পেয়ে বিরক্ত অংশীদাররা। ব্রোকারেজ আইজি মার্কেটসের বিশ্লেষক টনি সাইকামোর বলেন, এটি ব্যবসায় খুব একটা আস্থা জোগায় না। পরিস্থিতি ভালো নয়। আমি অনেক বিনিয়োগকারীর সঙ্গে কথা বলেছি যাদের টেসলায় শেয়ার রয়েছে এবং তারা ইলনের ওপর একেবারে ক্ষিপ্ত।
রেফিনিটিভ ডেটার হিসাবে, এক বছর আগেও টেসলায় ইলন মাস্কের অংশীদারত্ব ছিল প্রায় ১৭ শতাংশ। কিন্তু এখন তা কমে ১৩ দশমিক ৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
মাস্কের ধনসম্পদের মূল উৎসই হলো টেসলা। তবে এ বছর প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের দর ৩০ শতাংশের বেশি কমে যাওয়ায় ধস নেমেছে তার ব্যক্তিগত সম্পদেও। এরই মধ্যে বিশ্বের শীর্ষ ধনীর খেতাব হারিয়েছেন তিনি।
ফোর্বসের হিসাবে, বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ ধনী মাস্কের সম্পদের পরিমাণ ১৭ হাজার ৪০০ কোটি ডলার। আর এক নম্বরে উঠে আসা বার্নার্ড আর্নল্টের সম্পদের পরিমাণ ১৯ হাজার ৯০ কোটি ডলার।
নানা সমস্যায় জর্জরিত টেসলা গত অক্টোবরেই জানিয়েছিল, এ বছর তারা গাড়ি সরবরাহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হতে চলেছে। টেসলা-টুইটার ছাড়াও রকেট কোম্পানি স্পেসএক্স ও মানবমস্তিষ্কে কম্পিউটার সংযোগ তৈরি সংক্রান্ত স্টার্টআপ নিউরালিংকের মালিক ইলন মাস্ক।