শিরোনাম
ভারতে ১০ হাজার কোটি রুপি (১২০ কোটি মার্কিন ডলার প্রায়) খরচ করে বিদ্যুৎচালিত স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিকল বা এসইউভি’র কারখানা তৈরি করবে মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রা লিমিটেড। ভারতীয় প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন ধরেই গ্যাসচালিত গাড়ি বেশি তৈরি করে আসছে। তবে এবার পরিশুদ্ধ জ্বালানি-নির্ভর গাড়ি তৈরিতে বড় বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে তারা। খবর ব্লুমবার্গের।
বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) এসইসি ফাইলিংয়ে মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রা জানিয়েছে, পুনেতে একটি বৈদ্যুতিক এসইউভি কারখানা তৈরির জন্য আগামী আট বছরে ১০ হাজার কোটি রুপি খরচ করবে তারা। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকা।
নতুন কারখানায় এক্সইউভি ও বিই ব্র্যান্ডের গাড়ি তৈরি হবে। এ দুটি ব্র্যান্ডেরই নকশা করা হয়েছে ইংলিশ কাউন্টি অক্সফোর্ডশায়ারে। গত আগস্টে সেখানে একটি প্রদর্শনীতে নতুন মডেলের গাড়িগুলো দেখিয়েছিল মাহিন্দ্রা।
পুনেতে মাহিন্দ্রার কারখানা স্থাপনের পরিকল্পনাটি অনুমোদন করেছে মহারাষ্ট্রের সরকার। বৈদ্যুতিক গাড়ির প্রচারণায় রাজ্য সরকারের একটি কর্মসূচির অধীনে অনুমোদন পেয়েছে এটি।
চার্জিং অবকাঠামোর অভাব এবং বিদ্যুতের উচ্চমূল্যের কারণে বৈদ্যুতিক গাড়ি গ্রহণের দিক থেকে অনেক দেশের তুলনায় পিছিয়ে রয়েছে ভারত। বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বায়ুর একাধিক শহর থাকা দেশটি ২০৭০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
ভারতে বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজারে বর্তমানে আধিপত্য দেখাচ্ছে টাটা মোটরস লিমিটেড। নতুন কারখানা তৈরি হলে তাদের সঙ্গে আরও শক্ত প্রতিযোগিতা করতে পারবে মাহিন্দ্রা।
অবশ্য ভারতে বৈদ্যুতিক গাড়ি প্রস্তুতকারীদের মধ্যে প্রথমদিকেই ছিল প্রতিষ্ঠানটি। মাহিন্দ্রা ২০১০ সালে একটি বৈদ্যুতিক গাড়িনির্মাণ কারখানা কিনেছিল। এরপরও তারা এখন পর্যন্ত কেবল একটি মডেলেরই বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রি করে— ই-ভেরিটো। তবে ভারতের বাজারে শীর্ষ বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলার নির্মাতা তারাই।
ব্লুমবার্গ এনইএফের ধারণা, ২০৪০ সালের মধ্যে ভারতে বৈদ্যুতিক গাড়ি ব্যবহারের হার দাঁড়াবে ৫৯ শতাংশ। তবে চীনের ক্ষেত্রে এর হার হবে ৮৫ শতাংশ এবং যুক্তরাষ্ট্রে ৭৯ শতাংশ।