শিরোনাম
ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে মধ্য-আফ্রিকার দেশ ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর রাজধানী কিনশাসার অন্তত ৫০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) কিনশাসা পুলিশের প্রধান সিলভানো কাসোঙ্গো এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
সিলভানো কাসোঙ্গো বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত ৫০ জনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। তবে প্রাণহানীর একদম সঠিক সংখ্যা এখন বলা যাচ্ছে না।
কিনশাসার গভর্নরের কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দেশটির প্রধানমন্ত্রী ও প্রাদেশিক গভর্নর বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করছেন। স্থানীয় কর্মকর্তারা জরুরি অবস্থা মোকাবিলায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও অন্যান্য রাষ্ট্রীয় সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করবেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বন্যার ছবিতে দেখা যায়, কিনশাসার আশেপাশের এলাকা কাদা পানিতে ভেসে গেছে। রাস্তাগুলোতে গর্ত হয়ে যাওয়ায় বিছিন্ন হয়ে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। তবে এসব ছবির সত্যতা তাৎক্ষণিকভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
একটি ভিডিওতে দেখা যায়, মন্ট-এনগাফুলা জেলার প্রধান একটি মহাসড়কে বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সেখানে আটকা পড়েছে বেশ কয়েকটি যানবাহন। উৎসুক লোকজন উঁকি দিয়ে আটকা পড়া গাড়িগুলো দেখার চেষ্টা করছেন।
একসময় কঙ্গো নদীর তীরে মাছ ধরার গ্রাম হিসেবে কিনশাসার পরিচিতি থাকলেও, শহরটিতে এখন প্রায় দেড় কোটি মানুষের বসবাস। এমনকি, জনসংখ্যার আকার বিবেচনায় এটি আফ্রিকার মেগাসিটিগুলোর একটি।
দুর্বল নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আর দ্রুত নগরায়নের বিকাশ ঘটায় ভারি বৃষ্টিপাতের পর আকস্মিক বন্যার জন্য ক্রমবর্ধমান ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে শহরটি। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে দেশটিতে প্রায়ই ভারি বৃষ্টিপাত ও বন্যা দেখা দিচ্ছে।
এর আগে, ২০১৯ সালে কিনশাসায় ব্যাপক বৃষ্টিপাতের ফলে সেখানকার নিম্নাঞ্চলের কিছু জেলায় ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়। সেসময় বন্যায় অন্তত ৩৯ জনের প্রাণহানি ঘটে। ধসে যায় বহু বাড়িঘর ও সড়ক।
সূত্র : রয়টার্স