শিরোনাম
নির্বাচনে হারের পর দীর্ঘদিনের নীরবতা ভাঙলেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জেইর বলসোনারো। গত অক্টোবরের নির্বাচনে বিজয়ী বামপন্থি নেতা লুইজ ইনাসিও লুলা ডা সিলভার নতুন প্রেসিডেন্ট হওয়া আটকাতে প্রয়োজনে সামরিক অভ্যুত্থানের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। খবর রয়টার্সের।
সম্প্রতি প্রেসিডেন্সিয়াল বাসভবনের গেটে দাঁড়িয়ে এক ভাষণে বলসোনারো বলেন, প্রায় ৪০ দিন নীরব ছিলাম। এটি আমার আত্মাকে কষ্ট দিয়েছে।
সমর্থকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমি কোথায় যাবো সেই সিদ্ধান্ত আপনাদের। সামরিক বাহিনী কোন পথে যাবে সেই সিদ্ধান্ত আপনাদের।
এদিন সরাসরি সামরিক হস্তক্ষেপের কথা না বললেও উসকানিমূলক বক্তব্যে বলসোনারো বলেছেন, সামরিক বাহিনীকে ব্রাজিলের সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা উচিত।
গত অক্টোবরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে পরাজয় এখনো মেনে নেননি উগ্র ডানপন্থি এ নেতা। বরং নীরব থেকে সামরিক ঘাঁটিগুলোর সামনে সমর্থকদের বিক্ষোভ উসকে দিয়েছেন তিনি।
বলসোনারো বলেছেন, ব্রাজিলে সমাজতন্ত্র প্রতিরোধের প্রাচীর ছিল সশস্ত্র বাহিনী। তারা জনগণের প্রতি আনুগত্য ও সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং আমাদের স্বাধীনতার জন্য দায়বদ্ধ।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লুলার বিজয় আগামী সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেবে ব্রাজিলের ন্যাশনাল ইলেক্টোরাল অথোরিটি। তবে
ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টের দাবি, কিছুই হারিয়ে যায়নি এবং তাদের উদ্দেশ্য একদিন জয়ী হবেই।
গত ৩০ অক্টোবর ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এতে কট্টর ডানপন্থি নেতা বলসোনারোকে হারান সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বামপন্থি নেতা লুইজ ইনাসিও লুলা ডা সিলভা। নির্বাচনে ৫০ দশমিক ৯ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন লুলা। আর তার প্রতিদ্বন্দ্বী বলসোনারো পেয়েছেন ৪৯ দশমিক ১ শতাংশ ভোট। অর্থাৎ দুই শতাংশেরও কম ভোটের ব্যবধানে জিতেছেন লুলা।
ব্রাজিলের ইতিহাসে এই প্রথমবার কোনো ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট পুনর্নির্বাচিত হতে ব্যর্থ হলেন। তবে এ নিয়ে টুঁ শব্দটি করেননি বলসোনারো। অবশেষে গত ২২ নভেম্বর ঘোষণা দেন, তিনি এই ফলাফল তিনি মানছেন না। এ বিষয়ে সেদিন ব্রাজিলের নির্বাচন সংক্রান্ত কমিটির কাছে অভিযোগও জানিয়েছেন কট্টর ডানপন্থি এ নেতা।
অভিযোগপত্রে বলসোনারো লিখেছেন, ইভিএম-এ বাগ ছিল। সে কারণেই ভোটের ফলাফলে গণ্ডগোল হয়েছে। খুবই কম ভোটের ব্যবধানে জিতেছেন ৭৭ বছর বয়সী লুলা। সে কারণে তিনি এই ফলাফল মেনে নিচ্ছেন না।
আগামী ১ জানুয়ারি ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার কথা সাবেক প্রেসিডেন্ট লুলার।