শিরোনাম
রাশিয়া ও ইরানের সম্পর্ক বিশেষ করে প্রতিরক্ষার অংশীদারত্বে আরও বেশি উষ্ণ হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, রাশিয়াকে নজিরবিহীন সামরিক সহায়তা দিচ্ছে ইরান। তিনি আরও বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে রিপোর্ট রয়েছে যে দুই দেশ প্রাণঘাতী ড্রোন যৌথভাবে তৈরির বিবেচনা করছে।
সম্প্রতি সংবাদ সম্মেলনে হোয়াইট হাউজের নিরাপত্তাবিষয়ক মুখপাত্র জন কিরবি অভিযোগ করে বলেন, রাশিয়া ও ইরান যৌথভাবে ড্রোন তৈরি করছে যা ইউক্রেনের জন্য তো বটেই, ইরানের প্রতিবেশী দেশ ও বিশ্ব সম্প্রদায়ের জন্য ক্ষতিকর।
তিনি আরও বলেন, রাশিয়া ইরানের সঙ্গে অস্ত্র উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণের মতো কর্মসূচি হাতে নিতে যাচ্ছে। রাশিয়াও হেলিকপ্টার ও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাসহ ইরানকে উন্নত সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, ইরান রাশিয়ার শীর্ষ সামরিক সহায়তাকারী দেশ। ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোতে হামলায় এসব ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে। ইরানের কর্মকাণ্ডের জন্যই ইউক্রেনের মানুষ আজ মারা যাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
জন কিরবির ইরান সম্পর্কে এমন মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লিভারলি বলেন, ইরান রাশিয়ার অন্যতম প্রধান সামরিক সমর্থক হয়ে উঠেছে এবং তাদের সম্পর্ক বৈশ্বিক নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরুপ।
রাশিয়া ও ইরানের পারস্পরিক সহযোগিতার সম্পর্কের খবর সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসে। গত ১০ অক্টোবর থেকে ইউক্রেনের রাজধানীসহ অন্তত ১০টি অঞ্চলে রুশ হামলা শুরু হয়। বলা হচ্ছে, রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলাসহ, এসব ঘটনায় ব্যবহার হয়েছে ইরানের তৈরি ড্রোন। ইউক্রেন হামলায় ব্যবহৃত এসব ড্রোন চিহ্নিত করেছে দেশটি। এগুলো মনুষ্যবিহীন আকাশযান (ইউএভি)-কে ইরানি শহীদ-১৩৬ অস্ত্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে আত্মঘাতী অভিযান চালানো জাপানি যোদ্ধা পাইলটদের নামানুসারে এগুলোকে কামিকাজে ড্রোনও বলা হয়।
ইরান প্রথমদিকে এসব ড্রোন সরবরাহের কথা অস্বীকার করলেও পরে তারা জানায়, যুদ্ধ শুরু হওয়ার কয়েক মাস আগেই রাশিয়ার কাছে ড্রোন বিক্রি করেছিল ইরান। তবে ক্রেমলিনে কোনো ক্ষেপণাস্ত্র পাঠায়নি তেহরান। গত ৫ নভেম্বর একটি অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান। তিনি বলেন, ইউক্রেন ও পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ায় ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর যে অভিযোগ জানিয়ে আসছে, তা সম্পূর্ণ ভুল। তবে তেহরান থেকে মস্কোতে ড্রোন পাঠানো হয়েছে এটা সত্য। যুদ্ধ শুরু হওয়ার কয়েক মাস আগে কয়েকটি ড্রোন রাশিয়ার কাছে বিক্রি করা হয়েছিল।