শিরোনাম
কোনোভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা যাচ্ছে না, বেড়েই চলেছে ভারতের রাজধানী দিল্লির বায়ুদূষণ। এই অবস্থায় যাবতীয় নির্মাণ কাজে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দিল্লি প্রশাসন। একই সঙ্গে ইমারত ভাঙার কাজেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। খবর এনডিটিভির।
গত মাসে দেশটির কেন্দ্রীয় বিশেষজ্ঞ কমিটি দূষণ ঠেকাতে নির্মাণ কাজে নিষেধাজ্ঞা জারির পরামর্শ দিয়েছিল। কার্যত সেই পথেই হাঁটলো প্রশাসন।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কিছুদিন পর দূষণের মাত্রা কমলে ফের নির্মাণ ও ইমারত ভাঙার কাজে অনুমতি দেওয়া হবে।
গত নভেম্বরে একটি জরিপে চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। এতে দাবি করা হয়, দিল্লির ৮০ শতাংশ পরিবার বায়ু দূষণ সংক্রান্ত অসুস্থতায় ভুগছে। গত কয়েক সপ্তাহে দিল্লিতে বসবাসকারী ৮০ শতাংশ পরিবারের কোনো না কোনো সদস্য দূষণের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
দীপাবলির পর থেকেই দিল্লিতে বায়ু দূষণের মাত্রা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়তে শুরু করে। বায়ুদূষণ সূচক স্বাভাবিক থাকা তো দূর, বরং তা ‘বিপজ্জনক’ পর্যায় পৌঁছে যায়। ফলস্বরূপ নাগরিকদের হাজার রকম অসুস্থতা দেখা দিচ্ছে।
বাসিন্দারা অনেকেই শ্বাসকষ্ট, চোখ জ্বালা, মাথা যন্ত্রণার অসুখে ভুগছেন। অনেকে অতিরিক্ত অসুস্থতায় চিকিৎসকের কথা যেতে বাধ্য হচ্ছেন। গোটা বিষয়ে উদ্বিগ্ন বিশেষজ্ঞ বিজ্ঞানীর। তাদের মতে পরিস্থিতি প্রাণঘাতী পর্যায়ে পৌঁছেছে।
দূষণের ফলে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বয়স্ক মানুষরা। তাছাড়া শিশুদের ক্ষেত্রেও দিল্লির বাতাস ক্ষতিকারক হয়ে উঠেছে। যাদের হৃৎপিণ্ড কিংবা ফুসফুসের অসুখ রয়েছে, তাদের পক্ষে এই বাতাস অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এই পরিস্থিতিতে সর্বত্র মাস্ক পরে চলাফেরা করার নির্দেশ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
এই অবস্থায় গত মাসে কেন্দ্রের বিশেষজ্ঞ কমিটি নির্মাণ কাজ ও ইমরাত ভাঙার কাজে নিষেধাজ্ঞা জারির পরামর্শ দেয়। সেই মতো ব্যবস্থা নিলো প্রশাসন।
তবে বায়ুদূষণের মাত্রা কমলে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে। রোববার বিকেল চারটার দিকে দিল্লিতে বায়ুদূষণের মাত্রা ছিল এয়ার কোয়ালিটি ইন্ডেক্স (একিউআই) ৪০৭। একিউআই ২০১ থেকে ৩০০-র মধ্যে থাকলে তা ‘খারাপ’, ৩০১ থেকে ৪০০-র মধ্যে ‘খুব খারাপ’, ৪০১ থেকে ৫০০ ‘বিপজ্জনক’।