শিরোনাম
২০১৯ সালের জুলাই মাসে অনিন্দ্য দত্ত নামের একমাত্র ছেলের মৃত্যু হয় ট্রেন দুর্ঘটনায়। তারপর থেকে দিশেহারা হয়ে পড়েন পশ্চিমবঙ্গের তপন দত্ত (৭০) ও তার স্ত্রী রুপা দত্ত (৫৪)। একাকীত্ব ও মানসিক যন্ত্রণার কষ্ট কুরে কুরে খেতো দও দম্পতিকে।
এরপর এই দম্পতি মনে করেন পৃথিবীতে বেঁচে থাকার ও একাকীত্বের জীবন দূর করার জন্য সন্তান প্রয়োজন।
যেহেতু দুইজনের বয়স হয়েছে অনেক বেশি তাই বাধা হয়ে দাঁড়ায় শারীরিক একাধিক অসুবিধা। পরে পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া জেলার বালি এলাকায় এক ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন ওই দত্ত দম্পতি। তার পরামর্শেই শুরু হয় চিকিৎসা।
কিন্তু বাচ্চা গর্ভধারণ করার পর একাধিক শারীরিক অসুবিধার সম্মুখীন হন মা রুপা দত্ত।
এই অবস্থায় যে ডাক্তার দত্ত দম্পতিকে চিকিৎসা করতো সেও এক সময় হাল ছাড়তে থাকেন।
পরবর্তীসময়ে কলকাতার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন ও চিকিৎসা নেন। অবশেষে দীর্ঘদিন চিকিৎসা শেষে সেখানেই এক ছেলে ও একটি মেয়ে অর্থাৎ দুই যমজ শিশুর জন্ম দেয় এই বৃদ্ধ দম্পতি।
জানা গেছে, রুপা দত্ত অক্টোবর মাসের ১০ তারিখ ওই যমজ শিশুর জন্ম দেন। নভেম্বর মাসের ৩০ তারিখ অর্থাৎ বুধবার শিশুদের নিয়ে তাদের অশোকনগরের বাড়িতে আসেন দত্ত দম্পতি।
বর্তমানে সুস্থ আছেন তপন দত্তের স্ত্রী রূপা দত্ত ও তাদের সদ্য জন্ম নেওয়া সন্তানরা। আত্মীয়-স্বজন ও পাড়ার লোকজন তাদের ফুল ছিটিয়ে শঙ্খ বাজিয়ে বরণ করে নেয়। দত্ত দম্পতি মনে করছেন সন্তানদের ধীরে ধীরে বড় করে তুলবেন। এতে কিছুটা হলেও পুত্র শোকের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবেন তারা।